বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এপস্টেইনের সঙ্গে মিটিং ছিল ‘বড় ভুল’: গেটস

  •    
  • ৬ আগস্ট, ২০২১ ১১:১৪

গেটস বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে কয়েক বার রাতের খাবারে অংশ নিয়েছি। তিনি আশা করেছিলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য খাতে কোটি কোটি ডলার খরচ করে জনহিতকর কাজের মাধ্যমে তার অবস্থান থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন। যখন দেখা গেল এটি বাস্তবসম্মত হচ্ছে না, ঠিক তখন সম্পর্কের ইতি হয়।’

অপ্রাপ্তবয়স্কদের যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত হয়ে বিচারাধীন অবস্থায় কারাগারে মারা যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের আলোচিত বিনিয়োগকারী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে মিটিং করা ‘বড় ভুল’ ছিল বলে স্বীকার করেছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

বিল ও মেলিন্ডার বিচ্ছেদের পর এক টেলিভিশন সাক্ষৎকারে সেই ভুলের কথা স্বীকার করেছেন বিল গেটস।

চলতি বছরের ৩ মে প্রায় তিন দশকের দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস।

এরপর তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে নানা কথা প্রকাশ হতে থাকে। বিচ্ছেদের পিছনে গেটসের বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের কথাও উঠে আসে আলোচনায়।

যৌন নিপীড়নের সংঘবদ্ধ চক্রের হোতা হিসেবে অভিযুক্ত এপস্টেনইনের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গেটস সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বুধবার এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে মিটিং করার বিষয়টি তুলে ধরেন। মূলত গেটস তার কোম্পানির জন্য বড় ধরনের বিনিয়োগ পেতে এপস্টেইনের সঙ্গে সেই মিটিং করেছিলেন।

২০১৯ সালের আগস্টে নিউ ইয়র্কের একটি কারাগারে এপস্টেইন মারা যান। এপস্টেইনের লাশ কারাগারের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বেশ কিছু শিশুর যৌন নিপীড়ন ও যৌনতার জন্য নারী পাচারের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।

এক দশক আগে, এপস্টেইন যৌন নিপীড়নের ফেডারেল আদালতে অভিযোগ থেকে বাঁচতে মিয়ামিতে এক প্রসিকিউটরের সঙ্গে চুক্তিও করেছিলেন।

কয়েক বছর আগে যখন এক নাবালিকা তার বিরুদ্ধে জোর করে পতিতাবৃত্তির অভিযোগ আনেন, সে সময় এপস্টেইনের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করা শুরু করেন গেটস।

এই বিলিয়নিয়ার সমাজসেবী বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর জন্য অর্থ সংগ্রহে অনুপ্রাণিত হয়েই সভা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

গেটস সিএনএনকে বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে কয়েক বার রাতের খাবারে অংশ নিয়েছি। তিনি আশা করেছিলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য খাতে কোটি কোটি ডলার খরচ করে জনহিতকর কাজের মাধ্যমে তার অবস্থান থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন।

‘যখন দেখা গেল এটি বাস্তবসম্মত হচ্ছে না, ঠিক তখন সম্পর্কের ইতি হয়।’

তবে এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই তার বিচ্ছেদ হয়েছে কি না সে বিষয়টি নিয়ে সিএনএন কিংবা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের কাছে কোনো মন্তব্য করেননি।

২০১৯ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিল গেটস অন্তত তিনবার এপস্টেইনের বিলাসবহুল বাড়িতে গিয়েছিলেন। একবার অনেক রাত পর্যন্তও সেখানে ছিলেন। সেটা শুরু হয়েছিল ২০১১ সাল থেকে।

মে মাসে ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস।

দাম্পত্য জীবন শুরুর আগে মেলিন্ডা ছিলেন মাইক্রোসফটের কর্মী। সেখানেই পরিচয় এবং একসময় চার হাত এক হয় দুজনের।

তারা একত্রে মিলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। যেটি বিশ্বে দরিদ্র দেশগুলোর মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর