রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার এবং শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন লোকসভার নারী নিরাপত্তাকর্মী চন্দ্রকলা।
রাজ্যসভার কাচের দরজা ভেঙে আহত হওয়ার ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানিয়ে লোকসভার সচিবকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন সাংসদ অর্পিতা ঘোষও।
সব মিলিয়ে বুধবার রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদদের বরখাস্ত হওয়ার ঘটনার রেশ তো কাটলই না, বরং নতুন মাত্রা পেল।
তৃণমূল অবশ্য বুধবার থেকেই অন্য দাবি জানিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার সময় ধরে ধরে ওই দিনের ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।
টুইটারে একটি ভিডিও তুলে দিয়ে ডেরেক লিখেছেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পেগাসাস কাণ্ডে আলোচনা করতে রাজি হয়নি সরকার। এরপর ৩০ জন বিরোধী সাংসদ ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সকাল ১১টা ১৩ মিনিটের দিকে প্ল্যাকার্ড হাতে থাকার কারণে বরখাস্ত করা হয় ছয় সাংসদকে।
দুপুর ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে সেদিনের মতো স্থগিত হওয়ার পরই তিন তৃণমূল সাংসদকে সংসদ কক্ষে ঢুকতে বাধা দেন একজন পুরুষ মার্শাল। গোটা ঘটনা তুলে ধরে ডেরেকের প্রশ্ন, ‘এটা কী গণতন্ত্র চলছে?’
তৃণমূলের যুক্তি, সদনের মধ্যে রাজ্যসভায় সাংসদ দোলা সেনের ব্যাগ রয়ে গিয়েছিল। তিনি সেটি আনতে যেতে চাইলেও তাকে আনতে দেয়া হচ্ছিল না। অথচ অধিবেশন শেষ হয়ে গিয়েছিল সেদিনের মতো অর্থাৎ সাসপেনশান উঠেও গিয়েছিল।
পরে ডেরেক ও ব্রায়েন নিয়ম দেখিয়ে সুর চড়াতেই সুর নরম করে সরকার পক্ষ। ঘটনা পরম্পরা বলছে একদিনে পেগাসাস নিয়ে যেমন বিরোধী-সরকার দ্বন্দ্ব চরমে, তখন নিরাপত্তার প্রশ্নটি নতুন মাত্রা নিতে পারে।
তৃণমূল ছেড়ে কথা বলবে না। দেখার বিষয় সরকার কী অবস্থান নেয়। একটি সূত্রের খবর, চারদিক থেকে কোণঠাসা সরকার চাইছে যত দ্রুত সম্ভব লোকসভা অধিবেশন শেষ করতে।