যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসেবে ‘ভ্যাকসিন পাস’ বা টিকা সনদ চালু করল নিউইয়র্ক। অর্থাৎ বাড়ি থেকে বের হতে হলে নগরবাসীদের সঙ্গে থাকতে হবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেয়ার প্রমাণপত্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশেষ করে যে কোনো রেস্তোরাঁ, জিম ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করার আগে দেখাতে হবে টিকা সনদ।
নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও জানান, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে নতুন নিয়ম। কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নেয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে নগরবাসীকে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রূপ পরিবর্তিত করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার বাড়তে থাকার মধ্যেই এলো এ ঘোষণা।
গত বছরের মতো এ বছরও সবকিছু বন্ধ রেখে জনগণকে ঘরবন্দি না রাখতে বিকল্প খুঁজছে প্রশাসন। সংক্রমণ বৃদ্ধির বাস্তবতা মাথায় রেখেই চলছে অর্থনীতি সচলের চেষ্টা। তাই টিকা সহজলভ্য হতে থাকায় সবাইকে ডোজ নিয়ে ও মাস্ক পরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এদিকে, ডেল্টার বিস্তারের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) নতুন একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এতে উচ্চ সংক্রমিত এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের বের হওয়া বন্ধে ৬০ দিনের স্থগিতাদেশ রয়েছে।
যদিও এ ধরনের স্থগিতাদেশ কার্যকরে কংগ্রসকে নতুন আইন পাস করতে হবে বলে চলতি বছরের জুনে এক সিদ্ধান্তে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার এবং বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মীদের জন্য টিকাগ্রহণ বাধ্যতামূলক করেছে। গুগল, ফেসবুক, টাইসন ফুডসসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও কর্মীদের জন্য একই নীতিমালা নিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, মাস্ক পরা ও গত বছর ঘরে থাকার নির্দেশনার মতোই সবাইকে করোনার টিকার আওতায় আনার এ প্রচেষ্টা নিয়েও বিরোধিতার মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
এরই মধ্যে আমেরিকান জনগণ, বিশেষ করে রক্ষণশীলদের মধ্যে সরকারের ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ কর্মসূচি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এফডিএ) সেপ্টেম্বরের শুরুতেই ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকায় পূর্ণ অনুমোদন দিতে পারে বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। করোনা প্রতিরোধী সব টিকাই এখন পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে জরুরি অনুমোদন সাপেক্ষে।