ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর নয় বছরের এক দলিত কন্যাশিশুকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে পুরোহিতসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের বিক্ষোভের পাশাপাশি এ ঘটনায় টুইট বার্তায় নিন্দা জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের সঙ্গে দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের পুরানা নঙ্গল এলাকায় থাকত ওই শিশু। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সে মাকে বলে শশ্মানযাত্রীদের জন্য বসানো কুলার থেকে পানি আনতে গিয়েছিল।
বেশ কিছুক্ষণ পরেও সে না ফেরায় চিন্তা করছিলেন মা। পরে শ্মশানের পুরোহিত রাধে শ্যাম কয়েক জন লোককে দিয়ে ডেকে পাঠান মাকে। শিশুটির মরদেহ দেখিয়ে বলেন, কুলার থেকে বিদ্যুতের ছোবল খেয়ে মারা গেছে সে।
শিশুটির মা পুলিশকে জানিয়েছেন, তার মেয়ের ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত পোড়া দাগ ছিল। ঠোঁটও নীল হয়ে গিয়েছিল। পুরোহিত তাকে পুলিশে না জানানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, এতে ঝামেলা বাড়বে। দেহ নিয়ে গিয়ে ময়না তদন্ত করবে পুলিশ। মর্গ থেকে তার নানা প্রত্যঙ্গ চুরি করে নেবে। এর চেয়ে চুপিচুপি সৎকার করা ভালো।
শিশুটির অভিভাবকরা পুরোহিতের কথা না শুনে কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রতিবেশীদের খবর দেন। তারা ওই শশ্মান ঘিরে ফেলেন। পুলিশেও অভিযোগ করে শিশুটির পরিবার। দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিম জেলা পুলিশে এই অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতাপ সিং নামের পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোববার রাত সাড়ে ১০টায় তাদের কাছে একটি ফোন আসে। প্রায় ২০০ লোক শ্মশানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন শুনে তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানেই মেয়েটির মায়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়। মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এমন অভিযোগ পরিবারের।
পরে শশ্মানের পুরোহিত ও তার তিন সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণও সংগ্রহ করা হয়েছে।
শিশু নির্যাতন বিরোধী পকসো আইনের পাশাপাশি অন্যান্য কঠোর আইনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।