ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আগে ত্রিপুরায় বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। জঙ্গি হামলায় বিএসএফের দুই জওয়ান নিহত হয়েছেন।
বিএসএফ মনে করছে, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটি এই হামলা চালিয়েছে। নিহত দুই জোয়ানের রাইফেল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার সকালে ত্রিপুরার ধলাই জেলার ভারত-বালাদেশ সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের টহলের সময় জঙ্গিরা আচমকা হামলা চালালে ৬৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের এএসআই দুরা রাম সিং ও কনস্টেবল রাজকুমারের মৃত্যু হয়।
এনএলএফটির ১০ জনের সশস্ত্র একটি দল এই হামলা চালিয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রে খবর।
প্রতিদিন সকালে বিএসএফ জওয়ানরা ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের বেড়া পরীক্ষা করেন। কোথাও বেড়ার ক্ষতি হয়েছে কি না দেখেন। এদিনও জওয়ানরা সীমান্তের চৌমানু পুলিশ স্টেশনের কাছে আরসিনাথ বর্ডার আউট পোস্টের বেড়ার ধারে পৌঁছলে জঙ্গিরা আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। জঙ্গিদের সঙ্গে গোলাগুলিতে দুই জওয়ানের মৃত্যু হয় বলে বিএসএফের কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ৮৫৬ কিলোমিটারজুড়ে ত্রিপুরার আন্তর্জাতিক সীমান্ত, যার ৬৭ কিলোমিটার অংশে কোনো প্রাচীর বা বেড়া নেই।
নিহত জওয়ানদের সার্ভিস রাইফেল পাওয়া যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, জঙ্গিরা সেগুলো নিয়ে পালিয়েছে।
এ ঘটনায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব টুইট করে জানিয়েছেন, ‘ধলাইতে বিএসএফের ওপর এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করছি। তাদের এই আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবে না। বীর শহীদদের পরিবারের পাশে আমাদের দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকবে।’
বিএসএফের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘জঙ্গিদের সঙ্গে বিএসএফের গুলি বিনিময় হয়। তখনই বিএসএফের দুজন জওয়ান জখম হন। পরে তাদের মৃত্যু হয়। তবে রক্তের দাগ যেটুকু পাওয়া গেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, জঙ্গিরাও জখম হয়েছে। তবে আমাদের জওয়ানরা বীরত্বের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। জঙ্গিদের ধরতে ব্যাপক তল্লাশি চলছে।’