বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘একজন তালেবানকেও জীবিত ছাড়ব না’

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২১ ২০:০৭

লস্কর গাহর দুই লাখ বাসিন্দার উদ্দেশে জেনারেল সাদাত বলেন, ‘আপনারা যত তাড়াতাড়ি পারেন বাড়িঘর ছেড়ে চলে যান। আপনারা গেলেই আমরা অভিযান শুরু করব।’

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের অবরুদ্ধ রাজধানী লস্কর গাহ থেকে বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

তালেবানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযানের ঠিক আগমুহূর্তে এ আহ্বান জানানো হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি ও বার্তা সংস্থা এএফপি

হেলমান্দে তালেবানের বিরুদ্ধে অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল সামি সাদাত।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত কয়েক দিনে লড়াইয়ে লস্কর গাহ শহরে তালেবান ও আফগান বাহিনীর তীব্র লড়াইয়ে কমপক্ষে ৪০ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়।

প্রাদেশিক রাজধানী শহরটির বেশির ভাগ অংশ তালেবান কবজা করে নিয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়।

তবে আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী তালেবানের কাছে লস্কর গাহ না হারানোর প্রতিজ্ঞা করায় সেখানে এখনও সংঘর্ষ চলছে।

লস্কর গাহর দুই লাখ বাসিন্দার উদ্দেশে জেনারেল সাদাত বলেন, ‘আপনারা যত তাড়াতাড়ি পারেন বাড়িঘর ছেড়ে চলে যান। আপনারা গেলেই আমরা অভিযান শুরু করব।’

তিনি বলেন, ‘আমি জানি, আপনাদের পক্ষে বাড়িঘর ছাড়া কঠিন। আমাদের জন্যও এটা কঠিন।

‘আপনারা যদি কিছুদিনের জন্য বাস্তুচ্যুত হন, তাহলে দয়া করে আমাদের ক্ষমা করবেন।’

জেনারেল সাদাত আরও বলেন, ‘তালেবানরা যেখানেই রয়েছে, সেখানেই লড়াই হবে। তাদের কোনো সদস্যকে জীবিত ছাড়া হবে না।’

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সামরিক অভিযানে হেলমান্দ ছিল কেন্দ্রস্থল।

ওই অঞ্চল কোনোভাবে তালেবানের দখলে গেলে তা হবে আফগান সরকারের বড় ধরনের কৌশলগত ও মনস্তাত্ত্বিক পরাজয়।

লস্কর গাহ তালেবান নিয়ে নিলে ২০১৬ সালের পর এটাই হবে সংগঠনটির প্রথম প্রাদেশিক রাজধানী দখল।

‘রাস্তায় লাশের পর লাশ’

লস্কর গাহর বাসিন্দাদের ভাষ্য, তালেবানের ভয়াবহ হামলায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, ‘তালেবান আমাদের প্রতি সদয় হবে না। আর আফগান সরকারও বোমা হামলা থামাবে না।

‘রাস্তায় লাশের পর লাশ। আমরা জানি না, তারা তালেবান নাকি বেসামরিক নাগরিক।’

আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘শহরের সব প্রান্তেই লড়াই চলছে। আমি জানি না কোথায় যাব।’

প্রেক্ষাপট

আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই দেশটি দখলে মে মাসের শুরু থেকেই তৎপরতা চালায় তালেবান।

এ নিয়ে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে প্রতিদিনই তাদের সংঘর্ষ বাধছে।

এরই মধ্যে আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি জেলা এবং গুরুত্বপূর্ণ বর্ডার ক্রসিং নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তালেবান।

২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলা চালানো জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবানের সম্পর্কের জেরে আফগানিস্তানে সে সময় সামরিক অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো।

মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত অভিযানে ওই বছরই আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে তালেবানকে উৎখাত করা হয়।

তালেবান উৎখাত হলেও আফগানিস্তানে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর অবস্থান করে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত দেশের সেনারা।

চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরাতে নিজেদের সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এপ্রিলে বাইডেনের ওই ঘোষণার পর ন্যাটোর অন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলোও আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের কথা বলে। ধীরে ধীরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি থেকে বিদেশি সেনা সরতে শুরু করে, যা এখন প্রায় শেষের পথে।

এ বিভাগের আরো খবর