বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চীনে বন্যায় প্রাণহানি ৩ গুণ বেড়ে ৩০২

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২১ ১৬:১৫

১৭ জুলাই থেকে মাত্র তিন দিনে ৬১৭ দশমিক ১ মিলিমিটার বা ২৪ দশমিক ৩ ইঞ্চি বৃষ্টি রেকর্ড করে ঝেংঝৌ। শহরটিতে বার্ষিক গড় বৃষ্টি ৬৪০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বা ২৫ দশমিক ২ ইঞ্চি। গত এক হাজার বছরে চীনে এত বৃষ্টি আর হয়নি বলে সে সময় জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হেনান প্রদেশে গত মাসের বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০২ জনে, যা গত সপ্তাহে হালনাগাদকৃত তথ্যের প্রায় তিন গুণ বেশি। এখনও নিখোঁজ অর্ধশতাধিক মানুষ।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, বন্যায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত প্রাদেশিক রাজধানী ঝেংঝৌ। শহরটিতে বন্যায় মারা গেছে কমপক্ষে ২৯২ জন, নিখোঁজ ৪৭ জন। প্রদেশের অন্যান্য শহরে নিখোঁজ আরও তিনজন।

স্থানীয় সরকার সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, সোয়া এক কোটি বাসিন্দার শহর ঝেংঝৌতে অন্যান্য সময়ে সারা বছরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, জুলাইয়ে মাত্র তিন দিনেই সে পরিমাণ বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে সেখানে।

১৭ জুলাই থেকে মাত্র তিন দিনে ৬১৭ দশমিক ১ মিলিমিটার বা ২৪ দশমিক ৩ ইঞ্চি বৃষ্টি রেকর্ড করে ঝেংঝৌ। শহরটিতে বার্ষিক গড় বৃষ্টি ৬৪০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বা ২৫ দশমিক ২ ইঞ্চি।

গত এক হাজার বছরে চীনে এত বৃষ্টি আর হয়নি বলে সে সময় জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় পাতাল রেল, মাটির নিচে গাড়ি পার্কিং এলাকা আর সুড়ঙ্গ সড়ক ডুবে যায় পানিতে। আটকা পড়ে কয়েক হাজার মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে ডুবে যাওয়া রাস্তাঘাট, বন্যার পানির তোড়ে ভেসে আসা ধ্বংসস্তূপ, আর সাবওয়ে স্টেশনে গলা পানিতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের উদ্ধারের অপেক্ষায় থাকার দৃশ্য দেখা গেছে।

মেয়র হৌ হং সাংবাদিকদের জানান, গাড়িং পার্কিংসহ বিভিন্ন বেজমেন্ট থেকে ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাতাল রেলে পানিতে আটকে প্রাণ গেছে ১৪ জনের।

কিছুদিন আগে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত লুওইয়াং শহরে একটি বাঁধ বন্যায় ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় সেনা মোতায়েন করা হয় সেখানে। বাঁধটিতে ৬৫ ফুট দীর্ঘ ফাটল সৃষ্টি হয়েছে।

অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরাসহ সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতাকে দায়ী করেছেন পরিবেশবিদরা।

গত দুই সপ্তাহে বিরূপ আবহাওয়ার সাক্ষী হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল। ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চল, এশিয়ায় চীন, ভারত, আফগানিস্তান, আফ্রিকায় নাইজার বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দাবদাহ ও দাবানলে বিপর্যস্ত উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ।

এ বিভাগের আরো খবর