কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিরোধী ঐক্য এখন সময়ের আহ্বান। বিরোধী দলগুলো যত বেশি ঐক্যবদ্ধ হবে, ততই প্রতিরোধী কণ্ঠকে দমন করা কঠিন হবে।
দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মঙ্গলবার সকালে বিরোধী দলের সাংসদদের সঙ্গে প্রাতঃরাশ বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। সেই বৈঠকেই তিনি বিরোধী ঐক্যের আহ্বান জানান।
বিজেপির উপর চাপ বাড়াতে মক বা নকল পার্লামেন্টের রণকৌশল সাজাচ্ছে বিরোধীরা। এদিন রাহুল গান্ধীর আমন্ত্রণে প্রাতরাশ বৈঠকে ছিলেন ১৭টি বিরোধী দলের সংসদীয় নেতারা।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বৈঠকে ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্ররা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, শিবসেনা, সিপিআইএম, সিপিআই, আইইউএমএল, আরএসপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কেরালা কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা।
বিরোধী ঐক্যের বার্তা দিয়ে বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াই সংগঠিত করতে হবে। প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর রোধ করতে পারবে না যদি বিরোধীরা সংঘবদ্ধ থাকে।’
এই মুহূর্তে বিরোধী ঐক্য সবচেয়ে ‘জরুরি’ বলে বৈঠকে বার্তা দেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল।
বৈঠকে পেগাসাস কেলেঙ্কারি, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি থেকে শুরু করে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আরও সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা।
বিরোধী দলগুলোর বৈঠক শেষে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাহুল গান্ধীসহ বিরোধী সাংসদরা সাইকেল চালিয়ে সংসদ ভবনে যান।
এদিকে, পেগাসাস কেলেঙ্কারিতে কড়া অবস্থান নিয়েছে তৃণমূল। লোকসভা ও রাজ্যসভায় মুলতবি প্রস্তাবের নোটিস জমা দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যসভায় মুলতবি প্রস্তাব জমা দেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। লোকসভায় প্রস্তাব জমা দেন তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।