কাশ্মীরে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার ঘটনা সামলাতে জারি হয়েছে নতুন নির্দেশনা। যারা পাথর ছুড়বেন তারা সরকারি চাকরি পাবেন না। তাদের পাসপোর্টও অনুমোদন করা হবে না।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের (সিআইডি) জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে বা পুলিশের ওপর পাথর ছোড়ার মতো অপরাধ করলে কঠিন শাস্তি পেতে হবে। যারা পুলিশ-নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছুড়বে তাদের পাসপোর্টের অনুমোদন মিলবে না। অন্যান্য সরকারি পরিষেবা দেওয়া হবে না তাদের। এমনকি সরকারি চাকরিও তারা পাবেন না।
কাশ্মীর উপত্যকায় বিগত কয়েক বছরে পুলিশের ওপর পাথর ছুড়ে হামলা বা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। হামলা চালানোর কাজে কাশ্মীরি যুবক ও কিশোরদের ব্যবহার করা হচ্ছে অহরহ।
মূলত এসব পাথর নিক্ষেপকারীদের দমাতেই নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সিআইডি।
সিআইডির এসএসপি আমোদ অশোক শনিবার নির্দেশিকা জারি করে বলেন, 'দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যারা যুক্ত থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
জম্মু-কাশ্মীরে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে আগে থেকেই একাধিক বিধিনিষেধের ঘেরাটোপ ছিল। এবার থেকে আরও কঠোর হলো নিয়ম।
সিআইডির নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি চাকরি, প্রকল্প কিংবা পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ, পাথর ছোড়ার ঘটনা বা অন্য কোনো অপরাধমূলক মামলা রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে হবে। স্থানীয় থানা থেকে রেকর্ড যাচাই করতে হবে।
অপরাধ শনাক্তে ডিজিটাল রেকর্ড (যেমন: সিসিটিভি ফুটেজ, ছবি, ভিডিও বা অডিও ক্লিপ) থাকলে তা বিশ্লেষণ করতে হবে। আবেদনকারীর বিরুদ্ধে এ ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে বাতিল হবে তার আবেদন।
কয়েক বছর ধরেই জম্মু-কাশ্মীরের যুবকরা অভিযোগ করে আসছেন, সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য তাদের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। বিভিন্ন নিয়মের কারণে তারা যোগ্য প্রার্থী হয়েও চাকরি পাচ্ছেন না। নতুন জারি করা নির্দেশনায় তাদের সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ প্রশাসন দাবি করেছে, উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখতে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যুব সম্প্রদায়কে বিপথে চালিত হওয়া থেকে রুখতেই এ ধরনের উদ্যোগ।