ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করা সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রধান হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন ইসমাইল হানিয়া।
সংগঠনটির কর্মকর্তাদের বরাতে স্থানীয় সময় রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
২০১৭ সাল থেকে হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হানিয়া গাজা ও ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে সংগঠনটির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন।
গত দুই বছর ধরে মূলত তুরস্ক ও কাতার থেকে হামাসের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন ৫৮ বছর বয়সী হানিয়া।
চলতি বছরের মে মাসে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের টানা ১১ দিনের সংঘর্ষের নেতৃত্ব দেন তিনি।
ওই সংঘর্ষে শিশুসহ আড়াই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়। অন্যদিকে ইসরায়েলে ১৩ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়।
মিসরের মধ্যস্থতায় ১১ দিন পর উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
হামাসের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন শেষে ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘ভাই ইসমাইল হানিয়া দ্বিতীয়বারের মতো হামাসের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন।’
এ পদে চার বছর থাকবেন হানিয়া।
গাজায় হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ডান হাত ছিলেন হানিয়া।
২০০৪ সালে হুইলচেয়ার ব্যবহার করা ধর্মীয় নেতা ইয়াসিন আততায়ীর হাতে খুন হন।
২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের রাজনীতিতে সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রবেশে বড় ভূমিকা পালন করেন হানিয়া।
ওই বছরই ফিলিস্তিনের সংসদীয় নির্বাচনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের বিভক্ত দল ফাতাহকে পরাজিত করে জয় ছিনিয়ে নেয় হামাস।
জানুয়ারির ওই নির্বাচনে জয়ের পরপরই ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হন হানিয়া।
তবে হামাসের ওপর যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘সন্ত্রাসী’ তকমা থাকায় ওই পদে বেশি দিন টিকতে পারেননি তিনি।
২০০৭ সালে ছয় দিনের গৃহযুদ্ধ শেষে ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) কাছ থেকে গাজা দখল করে হামাস।
এর পরই গাজার ওপর অবরোধ দেয় ইসরায়েল, যা এখনও কার্যকর।