ভারতের অসম ও মিজোরাম রাজ্যের সীমান্তে সহিংসতার সপ্তাহ না পেরোতেই আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দুটি।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা ও পুলিশের মহাপরিদর্শক, উপমহাপরিদর্শক, এসপি রাজ্যটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে মিজোরাম পুলিশ।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, হত্যাচেষ্টাসহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
অসমের কাচার জেলার সঙ্গে মিজোরামের সীমান্তবর্তী কোলাসিব জেলার ভাইরেংতে থানায় মামলাটি করা হয়েছে বলে শুক্রবার এক ঘোষণায় জানায় মিজোরাম পুলিশ।
গত সোমবার প্রতিবেশী রাজ্য দুটির সীমান্তে প্রাণঘাতী সহিংসতার প্রতিক্রিয়ার মামলাটি করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত হন অসমের ছয় পুলিশ কর্মকর্তা ও এক বেসামরিক নাগরিকসহ সাতজন।
মামলায় কাচার জেলা পুলিশের উপকমিশনার এবং নাম উল্লেখ না করে আরও প্রায় ২০০ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হয়।
১ আগস্ট, অর্থাৎ রোববার অভিযুক্তদের ভাইরেংতে থানায় উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় মিজোরামের আইনপ্রণেতা কে ভানলালভেনাসহ রাজ্যটির অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে অসম পুলিশ। দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে সহিংসতায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে এ সমন জারি করা হয়।
মিজোরামের তিনটি জেলা আইজআওল, কোলাসিব ও মামিতের মোট ১৬৪ দশমিক ছয় কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে অসমের কাচার, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ জেলার।
রাজ্য দুটির মধ্যে সীমান্ত নিয়ে সংঘাতের ইতিহাস কয়েক দশকের। প্রতিবারই দুই পক্ষের নিরাপত্তারক্ষী ও স্থানীয়রা পরস্পরের প্রতি অনুপ্রবেশের অভিযোগ তোলে। মাত্র এক মাস আগেও বিবাদে জড়িয়েছিল তারা।
সবশেষ সহিংসতার সূত্রপাত অসমের কাচার ও মিজোরামের কোলাসিব জেলায় বিতর্কিত ১৯৮ বর্গমাইল আন্তরাজ্য সীমান্তে। সেখানে মিজোরামের বিরুদ্ধে নির্মাণকাজের অভিযোগ আসামের।
সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে এলেও দুই রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় এখনও পরিস্থিতি থমথমে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন দুই মুখ্যমন্ত্রী।
এ অবস্থায় অঞ্চলটিতে আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের সেনা বাড়িয়েছে কেন্দ্র। অসম ও মিজোরামের পুলিশের মাঝখানে অবস্থান করছে মোট ৫০০ সিআরপিএফ জওয়ান। তাদের সঙ্গে যোগ দেবে সিআরপিএফের আরও দুটি দল।