যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আড়াই হাজার আফগান দোভাষী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সঙ্গে কাজ করা আফগানদের বিশেষ অভিবাসন ভিসার (এসআইভি) সুবিধা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
অপারেশন অ্যালিজ রিফিউজ কর্মসূচির আওতায় নিরাপত্তাঝুঁকিতে থাকা আফগানদের প্রথম দলটি পা রাখবে যুক্তরাষ্ট্রে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, এসআইভির প্রক্রিয়া সম্পন্নে আপাতত ওয়াশিংটনের ফোর্ট লি সেনাঘাঁটিতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে তাদের। অতীত ও জীবনবৃত্তান্ত খতিয়ে দেখা, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ ভিসার অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির নেতৃত্বাধীন জোটের সেনা প্রত্যাহারের সুযোগে আফগানিস্তানের বড় অংশ দখল করে নিয়েছে সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তালেবান। আফগান ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।
দাবির সত্যতা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও তালেবান আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পথে কৌশলগত বিজয় অর্জন করেছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা মার্ক এ মাইলি।
বিদেশি সেনাদের অনুপস্থিতিতে তাদের সহযোগিতা করা আফগান নাগরিকরা তালেবানের প্রতিহিংসার শিকার হতে পারেন বলে শঙ্কা ঘনিয়ে উঠেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে এমন উদ্যোগ ওয়াশিংটনের।
অলাভজনক প্রতিষ্ঠান নো ওয়ান লেফট বিহাইন্ডের হিসাব অনুযায়ী, পশ্চিমাঘেঁষা কমপক্ষে ৩০০ আফগান মিত্র বা তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছে তালেবান।
এমন পরিস্থিতিতে ২০০৮ সাল থেকে এসআইভির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পেয়েছেন ৭০ হাজার আফগান।
ওয়াশিংটনের তথ্য অনুযায়ী, বতর্মানে এসআইভি কর্মসূচির আওতায় ভিসার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। এদের অর্ধেকই এসআইভি ভিসা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ সম্পন্নের কাজ এখনও শেষ করেননি।