ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিসংক্রান্ত আলোচনা অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
কুয়েত সফরকালে বৃহস্পতিবার তিনি এ মন্তব্য করেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২০১৫ সালে চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জয়েন্ট কম্প্রেহেন্সিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান।
এতে বলা হয়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিতকরণের বিনিময়ে দেশটির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।
বারাক ওবামার আমলের সেই চুক্তি থেকে একতরফাভাবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন।
পরমাণু চুক্তিতে ফেরা নিয়ে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে আলোচনায় বসে চুক্তি স্বাক্ষরকারী পক্ষগুলো।
আর ওই আলোচনায় পরোক্ষ অংশগ্রহণ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা কূটনীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে এই প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে পারে না।
‘ইরান কী করতে প্রস্তুত আর কী করতে প্রস্তুত নয়, তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সমঝোতা আলোচনা অব্যাহত রাখতে আমাদের প্রতিনিধিদল ভিয়েনায় ফিরতে পুরোপুরি রাজি।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘বল ইরানের কোর্টেই রয়েছে।’
আগামী মাসের শুরুতে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করছেন ইরানের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তার আগে চুক্তিতে পৌঁছার সম্ভাবনা তেমন একটা নেই।
রাইসি অত্যন্ত কট্টর মতাদর্শের হলেও ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে সমর্থন রয়েছে তার।
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের অবসান চান রাইসি।