বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফগানিস্তান নিয়ে চীনের আগ্রহ ইতিবাচক হতে পারে: যুক্তরাষ্ট্র

  •    
  • ২৯ জুলাই, ২০২১ ১৫:৩৯

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আফগানিস্তানে সংঘর্ষ বন্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও সত্যিকার প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনে চীন আন্তরিক হলেই কেবল বিষয়টি ইতিবাচক হওয়া সম্ভব।’

আফগানিস্তান বিষয়ে চীনের সম্ভাব্য অংশগ্রহণ ‘ইতিবাচক’ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

ভারতে দুই দিনের সফরকালে বৃহস্পতিবার তিনি এ মন্তব্য করেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আফগানিস্তানে সংঘর্ষ বন্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও সত্যিকার প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনে চীন আন্তরিক হলেই কেবল বিষয়টি ইতিবাচক হওয়া সম্ভব।‘

বুধবার তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে চীন সরকারের বৈঠকের পরই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগানিস্তান ঘিরে এসব মন্তব্য করেন।

চীন ও তালেবান প্রতিনিধিদের বৈঠকের বিষয়ে ব্লিঙ্কেনের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা সামরিকভাবে দখল করুক, তা কেউই চায় না। দেশটিতে ইসলামিক আমিরাতের পুনঃপ্রতিষ্ঠার পক্ষে কেউ না।’

তালেবানকে শান্তিপূর্ণভাবে বৈঠকে বসারও আহ্বান জানান ব্লিঙ্কেন।

তালেবানের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল বুধবার চীনের বন্দরনগরী তিয়ানজিনে পৌঁছায়।

ওই দিন চীনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তালেবানের মুখপাত্র টুইটবার্তায় বলেন, ‘আফগানদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার আলোচনায় পুনর্ব্যক্ত করে চীন।

‘আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না বলে বৈঠকে চীন জানিয়েছে। বরং দেশে বিরাজমান সমস্যা সমাধান ও শান্তি স্থাপনে চীন সহযোগিতা করতে চায়।’

অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি গ্রহণ করেছে চীন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশের সব সেনা দ্রুত প্রত্যাহারের ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, আফগানিস্তানের সংকট নিরসনে ওয়াশিংটনের নীতি ব্যর্থ হয়েছে।

‘দেশে স্থিতিশীলতা আনতে ও সমৃদ্ধি ঘটাতে আফগানদের এখন সুবর্ণ সুযোগ।’

চীন সরকারের সঙ্গে তালেবানের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে তালেবান।

এর আগে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও দেশটি পুনর্গঠনে তালেবান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করে বেইজিং।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোভুক্ত দেশ আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই মাসখানেক ধরে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল দখলে নিতে থাকে তালেবান।

মের শুরুতেই আফগানিস্তানের কান্দাহারসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের সংঘর্ষ শুরু হয়।

দেশটির অর্ধেকের মতো জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ বর্ডার ক্রসিং এখন তালেবানের দখলে।

এ বিভাগের আরো খবর