২০২০ সালের শেষ দিকে ভারতে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাসের রূপ পরিবর্তিত অধিক সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৩২টি দেশে ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ডেল্টা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচও সবশেষ তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে ৩৮ লাখের বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় এ হার আট শতাংশ বেশি। এ পর্যায়ে বৈশ্বিক সংক্রমণের সিংহভাগের জন্যই দায়ী ডেল্টা।
জাতিসংঘের সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট ইউএন নিউজের বুধবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় সাতদিনের ব্যবধানে গত সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার বেড়ে ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ হার ছিল ২৫ শতাংশ।
একই সঙ্গে বেড়েছে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যাও। গত সপ্তাহে বৈশ্বিক প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ৬৯ হাজারের বেশি; যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।
ডব্লিউএইচও বলছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দুই সপ্তাহে বিশ্বের ২০ লাখ মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হতে পারেন।
গত সাতদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন করে করোনার উপস্থিতি মিলেছে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের দেহে। আগের সপ্তাহের তুলনায় এ সংখ্যা ১৩১ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের পর এ তালিকায় আছে ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য ও ভারত।
অঞ্চলের হিসাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও নতুন শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে, যদিও আমেরিকা-ইউরোপের চেয়ে এ হার তুলনামূলক কম। এক সপ্তাহ আগের তুলনায় গত সপ্তাহে অঞ্চলটিতে করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে তিন শতাংশ।
ইউরোপের প্রায় সব অঞ্চলে বেড়েছে মৃত্যু।
সারা বিশ্বে করোনার রূপ পরিবর্তিত যত ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাস এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে, সেসবের মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক বলে ডেল্টাসহ চারটি ভ্যারিয়েন্টকে চিহ্নিত করেছে ডব্লিউএইচও। বাকিগুলো হলো আলফা, বেটা ও গামা ভ্যারিয়েন্ট।
এ পর্যন্ত ১৮২টি দেশে আলফা, ১৩১টি দেশে বেটা ও ৮১টি দেশে গামা শনাক্ত হয়েছে।
মহামারির দেড় বছরের বেশি সময়ে বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে সাড়ে ১৯ কোটি মানুষের দেহে, প্রাণহানি ৪১ লাখের বেশি।
চলতি সপ্তাহের সোমবার পর্যন্ত দেশে দেশে ৩৭০ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।