বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে চীন

  •    
  • ২৯ জুলাই, ২০২১ ০৯:২১

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন ২০২০ সালে জানিয়েছিল যে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত দ্বিগুণ করতে তৎপরতা শুরু করেছে বেইজিং। সে সময় চীনের মজুতকৃত পারমাণবিক বোমার সংখ্যা ছিল ২০০। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের মজুতকৃত পারমাণবিক বোমার সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৮০০।

পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত বৃদ্ধি ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সক্ষমতা বাড়াচ্ছে চীন। স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের ছবি বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা।

ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টসের (এফএএস) সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জিনজিয়াংয়ে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনের পারমাণবিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।

এ নিয়ে গত দুই মাসে চীনের পশ্চিমাঞ্চলে দ্বিতীয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষেত্র নির্মাণাধীন বলে খবর পাওয়া গেল।

আমেরিকান বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন ক্ষেত্রটি একসঙ্গে প্রায় ১১০টি ‘সিলো’র ধারণক্ষমতাসম্পন্ন। ক্ষেপণাস্ত্র মজুতে ও ছুড়তে সক্ষম ভূগর্ভস্থ ব্যবস্থাকে ‘সিলো’ বলা হয়।

গত মাসে গানসু প্রদেশের ইউমেনের একটি বিস্তীর্ণ মরু এলাকায় ১২০টি সিলো চিহ্নিতের খবরে প্রকাশ করে ওয়াশিংটন পোস্ট।

এফএএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ক্ষেত্রটি ইউমেন থেকে প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে হামি এলাকায় অবস্থিত। এটির নির্মাণকাজ কেবল শুরু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন ২০২০ সালে জানিয়েছিল যে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত দ্বিগুণ করতে তৎপরতা শুরু করেছে বেইজিং। সে সময় চীনের মজুতকৃত পারমাণবিক বোমার সংখ্যা ছিল ২০০।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের মজুতকৃত পারমাণবিক বোমার সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৮০০।

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণবিষয়ক আলোচনার প্রস্তুতির মধ্যেই চীনের এ খবর প্রকাশ হলো। এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বেইজিং।

পারমাণবিক অস্ত্র সক্ষমতা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার থমকে যাওয়া আলোচনা নতুন করে শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে দেশ দুটি। এ লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মুখোমুখি বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শারম্যান ও রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই র‍্যাবকোভ।

আজ অবধি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কোনো আলোচনায় অংশ নেয়নি চীন।

এ বিভাগের আরো খবর