বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কমিশনের সদস্যরা বিজেপি ঘনিষ্ঠ, হলফনামায় দাবি রাজ্যের

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২১ ২১:২২

সোমবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এই হলফনামা আদালতে জমা দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে ভোট পরবর্তী সহিংসতায় রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিতে বেছে বেছে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের ঘনিষ্ঠদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তার যথেষ্ট প্রমাণ আছে বলে হলফনামায় দাবি করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ পক্ষপাতদুষ্ট, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেয়া রাজ্যের (পশ্চিমবঙ্গ) হলফনামায় কমিশনের সদস্যদের বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এই হলফনামা আদালতে জমা দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে ভোট পরবর্তী সহিংসতায় রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিতে বেছে বেছে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের ঘনিষ্ঠদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তার যথেষ্ট প্রমাণ আছে বলে হলফনামায় দাবি করা হয়েছে।

রাজ্যের বক্তব্যে বলা হয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি নিরপেক্ষ সংস্থা কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ভোটের সহিংসতার পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনের প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে অপদস্ত করতে কেন্দ্র এই কমিশনকে ব্যবহার করছে।

রাজ্যের হলফনামায় বলা হয়েছে, ৫ মে নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দাবি করেছেন, বেশিরভাগ সহিংসতার ঘটনা, যখন নির্বাচন কমিশনের হাতে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল তখনকার। সেকথাও হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ৭ সদস্য, রাজ্যে ঘুরে ঘুরে সহিংসতার অভিযোগ সংগ্রহ করে, সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিল। শুধু তাই নয়, এই মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে তদন্তের সুপারিশ করেছিল তারা। যা কমিশনের এক্তিয়ারের বাইরে বলে মনে করে রাজ্য সরকার। গোটা বিষয়টি পরিকল্পনামাফিক, রাজ্যকে হেনস্তা করার চক্রান্ত বলে, হলফনামায় বলা হয়েছে।

হলফনামায় সরাসরি কমিশনের ৩ সদস্যের বিজেপি যোগ এবং কেন্দ্র সরকার ঘনিষ্ঠ বলে, সুনির্দিষ্টভাবে নাম উল্লেখ করা হয়েছে। রাজীব জৈন, এককালে বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্ব সামলাতেন। আতিফ রশিদ, ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সাবেক নেতা এবং বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়েছেন। আতিফ বিজেপি যুব মোর্চার জাতীয় স্তরের কর্মকর্তা ছিলেন এবং গুজরাট বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্য রজুলবেন এল দেসাইও ছিলেন।

রাজ্যের হলফনামায় বলা হয়েছে গোটাটাই রাজ্যের বিরুদ্ধে চক্রান্ত। এর সঙ্গে ভোট পরবর্তী সহিংসতার কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করা হয়েছে।

ভোট পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে জনস্বার্থ মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশে করা, এর সঙ্গে বাস্তবের কোন যোগ নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা নিজেদের ফায়দা লুটার জন্য তদন্ত প্রক্রিয়াকে রঙ্গশালায় পরিণত করেছেন।

তিন হাজার ৪২৮ পাতার প্রতিবেদন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অথচ রাজ্যকে জবাব দেয়ার নির্দেশ নেই।

কমিশনের প্রতিবেদন আগেই খারিজ করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের বক্তব্য, সমস্ত সহিংসতার অভিযোগ ধরে ধরে সমাধান করা করা হয়েছে। তখন হাইকোর্ট রাজ্যের বক্তব্য হলফনামা আকারে পেশ করতে বললে সোমবার তার জবাবে আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে রাজ্য।

সেখানে কড়া ভাষায় কমিশনের সমালোচনা করে ভোটের সহিংসতার দায় যে রাজ্যের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে, রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে অভিযোগ করেন, ১৫ জুলাই কমিশনের জমা দেয়া প্রতিবেদন, অসঙ্গতিপূর্ণ। নিরপেক্ষ একটি জাতীয় সংস্থার কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না বলে তিনি জানান। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই।

এ বিভাগের আরো খবর