পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠনের পর এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের মধ্যে টুইটার ট্রেন্ড হয়েছে আবকি বার দিদি সরকার।
২০১৪ সালে গুজরাট মডেল সামনে রেখে বিজেপি স্লোগান তুলেছিল আবকি বার মোদি সরকার। সেবার বিপুল জনসমর্থন নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে চায় বিরোধীরা। বিজেপি বিরোধী ঐক্যের প্রস্তুতির মধ্যে মোদির স্লোগানকে একটু পাল্টে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়নের মডেল সামনে রেখে ‘বেঙ্গলিপ্রাইম মিনিস্টার’ হ্যাশট্যাগের পর ‘আবকি বার দিদি সরকার’ যেভাবে ট্রেন্ড হয়েছে সেটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
টুইটারে আবকি বার দিদি সরকার হ্যাশট্যাগ দিয়ে কেউ কেউ লিখেছেন, ‘ভারত আরও ভালো পরিষেবা চায়। গরিব মানুষের জন্য সরকার চায় ভারত । তাই আমরা মমতা ব্যানার্জিকে চাই।’
কেউ আবার লিখেছেন, ‘ভারত বাংলার মডেল চায়।’
একজন আবার টুইটার পোস্টে লিখেছেন, ‘দিদির বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বলছে যে নিশ্চিত আবকি বার দিদি সরকার।’
আবকি বার দিদি সরকার হ্যাশট্যাগ দিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা রাজ্যের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের কথা পোস্টে তুলে ধরেছেন। সেখানে রাজ্যের কোটি কোটি মানুষ ওই সমস্ত প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এবার দেশের সমস্ত মানুষের ওই সমস্ত সুবিধা পাওয়া উচিত। এজন্য দিল্লির মসনদে দিদিকে বসাতে চান বলে লিখেছেন তারা।
২১ জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসের ভার্চুয়াল সমাবেশে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ঘোষণা করেছিলেন ক্ষমতায় এলে গোটা দেশে ফ্রিতে রেশন দিবেন।
তৃণমূল নেতারা দেশের সামনে বেঙ্গল মডেল তুলে ধরে মমতার দিল্লি সফরের মধ্যে আবকি বার দিদি সরকার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এবারের দিল্লি সফর আসলে মোদি বিরোধীদের একজোট করার সফর বলে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তার দিল্লি সফরের সময় একাধিক বিজেপি বিরোধী নেতা সংগঠনের সঙ্গে যেমন বৈঠক করবেন, তেমনি একাধিক বিজেপি নেতার সঙ্গেও দেখা করবেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গে বিশাল ব্যবধানে বিজেপিকে পরাস্ত করার পর দেশের মোদি বিরোধী মুখ হিসেবে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন তিনি। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, আপের অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত এবং মেহবুবা মুফতিরা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তখন।
এবার পেট্রল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, ইসরায়েলি স্পাইওয়ার পেগাসাস নিয়ে সংসদের ভেতরে বাইরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে চেপে ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়াকে বিজেপি যেভাবে ব্যবহার করে অন্য কোনো দল সেটি করে উঠতে পারিনি এতদিন। এবার তৃণমূল কংগ্রেসও সবদিক দিয়ে বিজেপির পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত।
মমতার দিল্লি সফরের মধ্যে আবকি বার দিদি সরকার প্রচার তৃণমূলকে বিজেপি বিরোধীদের নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।