বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনের ফল বাতিল জান্তা সরকারের

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২১ ১৫:৪৬

মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান থাইন সো বলেন, ‘করোনাবিষয়ক বিধিনিষেধ অপব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বী দল ও প্রার্থীদের কাছ থেকে রাষ্ট্রক্ষমতা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে এনএলডি। ওই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না। এ কারণে নির্বাচনের ফল বাতিল করা হয়েছে।’

মিয়ানমারের গত বছরের জাতীয় নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ না হওয়ায় এর ফল বাতিল করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা সরকার।

গণতন্ত্রপন্থি নেতা নোবেলজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়ে পরাজিত করে সেনাবাহিনী সমর্থিত বিরোধী দলকে।

অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের প্রায় ছয় মাস পর জান্তা সরকার সোমবার নির্বাচনের ফল বাতিল করে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে তদন্ত চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পরই শুরু করে জান্তা সরকার।

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের নির্বাচন কমিশন সোমবার জানায়, তদন্তে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি নির্বাচনকেন্দ্রিক কারচুপির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান থাইন সো বলেন, ‘করোনাবিষয়ক বিধিনিষেধ অপব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বী দল ও প্রার্থীদের কাছ থেকে রাষ্ট্রক্ষমতা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে এনএলডি।’

তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না। এ কারণে নির্বাচনের ফল বাতিল করা হয়েছে।’

৫ কোটি ৪০ লাখ জনগোষ্ঠীর দেশ মিয়ানমারে ফের জাতীয় নির্বাচন হবে কি না, এ বিষয়ে কিছু জানাননি কমিশন চেয়ারম্যান থাইন সো।

এর আগে নির্বাচনের বিষয়ে জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আগামী দুই বছরের মধ্যে মিয়ানমারে আবার জাতীয় নির্বাচন হবে।

তবে মাসখানেক আগে সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি বিলুপ্ত করার হুমকি দেয় জান্তা সরকার।

মিয়ানমারের গত বছরের নির্বাচন নিয়ে থাইল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, এ নির্বাচনে মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে।

১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের দিন সু চিসহ মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, এনএলডির বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির সেনাবাহিনী।

পরে গৃহবন্দি সু চির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনে জান্তা সরকার।

অবৈধ উপায়ে ওয়াকিটকি আমদানি, ১ কেজি সোনা ঘুষ নেয়া থেকে শুরু করে ঔপনিবেশিক আমলের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘনও এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে।

মিয়ানমারের সেনা আদালতে ১৪ জুন সু চির বিচার শুরু হয়।

সু চির বিরুদ্ধে সামরিক সরকারের অভিযোগ আদালতে প্রমাণ হলে এক দশকের বেশি সময় কারাদণ্ড হতে পারে ৭৫ বছর বয়সী নেতার।

সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে গত প্রায় ছয় মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে মিয়ানমারে।

বিক্ষোভ দমনে দেশটির জান্তা সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

স্থানীয় তদারকি সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) তথ্য অনুযায়ী, বিক্ষোভ শুরুর পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন ৯০০-এর বেশি মানুষ।

এ ছাড়া কারাবন্দি রয়েছেন হাজারখানেকের মতো বিক্ষোভকারী।

২০১০ সালে মুক্তির আগে তৎকালীন সেনা সরকারের আমলে ১৫ বছরের বেশি সময় গৃহবন্দি ছিলেন দেশটির গণতন্ত্রকামী নেতা সু চি।

এ বিভাগের আরো খবর