ভারতের সংসদে বর্ষাকালীন অধিবেশনে অচলাবস্থা তৈরির জন্য কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলোকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিজেপি সাংসদদের এক বৈঠকে মঙ্গলবার অংশ নেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি সংসদের কার্যক্রম বিঘ্নিত করায় বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন।
প্যাগাসাস ফোন-হ্যাকিং, কৃষি আইন এবং অন্যান্য বিষয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে প্রতিদিনই সংসদের উভয় সদনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসসহ বিরোধী দলের সাংসদরা। বিক্ষোভের ফলে প্রতিদিনই অধিবেশন মুলতবি রাখতে হচ্ছে লোকসভা ও রাজ্যসভায়।
বিজেপি সাংসদদের রুটিন বৈঠকে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে অচলাবস্থার জন্য প্রধানত কংগ্রেসকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, ‘অধিবেশনের কাজ সুষ্ঠুভাবে চালানোর সামান্য সুযোগ তৈরি হলেও কংগ্রেসের ইচ্ছাকৃত বাধাদানে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে কোভিড অতিমারি নিয়ে সর্বদলীয় পর্যালোচনা বৈঠক বয়কট করেছে কংগ্রেস। সাথে সাথে অন্য দলগুলোকেও প্ররোচিত করেছে বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার জন্য।’
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই কংগ্রেস তাদের নেতিবাচক মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিল। যখন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে সদনের পরিচয় করিয়ে দিতে চাইছিলাম। ওদের বাধায় আমার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছিল।’
দলীয় সাংসদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের এই নেতিবাচক আচরণকে প্রচারমাধ্যম ও মানুষের সামনে বারবার তুলে ধরতে হবে।’
সংসদীয় দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী, রাজ্যসভার নেতা পীযুষ গোয়েলসহ বিজেপি নেতারা।