বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া অর্ধেকের বেশি পর্যটক বাংলাদেশি

  •    
  • ২৪ জুলাই, ২০২১ ২৩:১১

প্রতিবেদনে উঠে আসে ভারতে মেডিক্যাল ট্যুরিস্টদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়ছে। ১২ বছর আগে বাংলাদেশি মেডিক্যাল ট্যুরিস্টের হার ছিল ২৩ শতাংশ। তবে গত বছর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশের বেশি।

গত বছর ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৩০ শতাংশই ছিল বাংলাদেশি।

ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সবশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২০ সালে দেশটিতে আসা মেডিক্যাল ট্যুরিস্টদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরাকের নাগরিকরা। তাদের হার ৯ শতাংশ।

ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া পর্যটকদের ৮ শতাংশ আফগানিস্তানের নাগরিক, ৬ শতাংশ মালদ্বীপের এবং সাড়ে ৪ শতাংশ পর্যটক আফ্রিকার কয়েকটি দেশের নাগরিক।

দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উঠে আসে ভারতে মেডিক্যাল ট্যুরিস্টদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়তে থাকে। ১২ বছর আগে বাংলাদেশি মেডিক্যাল ট্যুরিস্টের হার ছিল ২৩ শতাংশ। তবে গত বছর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশের বেশি।

ভারতীয় পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ২০০৯ সালে দেশটিতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিল ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে সে বছর ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ মেডিক্যাল ট্যুরিস্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল মালদ্বীপ। এরপর বাংলাদেশিদের হার বাড়তে থাকে। আর কমতে থাকে চিকিৎসা নেতে আসা মালদ্বীপের পর্যটকদের সংখ্যা।

এক দশকের ব্যবধানে ২০১৯ সালে ভারতে চিকিৎসা নিতে আসা পর্যটকদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশে। অন্যদিকে, মালদ্বীপ থেকে ভারতে আসা মেডিক্যাল ট্যুরিস্টের হার নেমে আসে মাত্র ৭ দশমিক ৩০ শতাংশে।

কেন বাড়ছে বাংলাদেশি মেডিক্যাল ট্যুরিস্টের সংখ্যা

ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল অ্যান্ড ওয়েলনেস ট্যুরিজম প্রমোশন বোর্ডের সদস্য ও প্রখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠি জানান, বেশিরভাগ বিদেশি রোগীরা ভারতে যান জটিল হার্ট সার্জারি এবং ক্যান্সারের চিকিৎসা নিতে।

ডা. দেবী শেঠি আরও বলেন, ‘ভারতের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা ছাড়াও বাংলাদেশিদের সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দুই দেশের খাবার ও ভাষাগত মিল; সাশ্রয়ী চিকিৎসা এবং সাংস্কৃতিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।’

ভারতের স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ফোরটিস হেলথকেয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মনীষ মাত্তো বলেন, দিল্লি এবং মুম্বাইয়ে বেশিরভাগ মেডিক্যাল ট্যুরিস্ট আসেন পশ্চিম এশিয়া এবং বাংলাদেশ থেকে। চেন্নাইয়ের হাসপাতালগুলো পেয়ে থাকে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং মরিশাসের নাগরিক। ব্যাঙ্গালুরুতে আসা অধিকাংশ মেডিক্যাল ট্যুরিস্ট আফ্রিকা, বাংলাদেশ এবং পশ্চিম এশিয়ার নাগরিক।

মালদ্বীপের পাশাপাশি আফগানিস্তানের মেডিক্যাল ট্যুরিস্টের সংখ্যাও কমছে ভারতে। ২০০৯ সালে ভারতে চিকিৎসা নিতে আসা আফগান মেডিক্যাল ট্যুরিস্টদের হার ছিল ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। সাত বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশে। তবে ২০১৯ সালে তা কমে হয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৭০ শতাংশে।

ডা. দেবী শেঠি জানান, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকেই বিদেশি রোগীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তার মতে, করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে দেশটিতে মেডিক্যাল ট্যুরিজম আগের অবস্থায় ফিরতে অন্তত ছয় মাস লাগতে পারে। নিয়মিত ফ্লাইট চালু হওয়া, দূতাবাসগুলোতে মেডিক্যাল ভিসা ইস্যু হতে আরও সময় লাগবে। মহামারির সময় শুধু জরুরি ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে।

একইসঙ্গে মেডিকেল ট্যুরিজম ফের আগের অবস্থায় যেতে হলে ভারতের মহামারি পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর