আকাশপথে ড্রোন দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। জম্মুতে পরপর ড্রোন দিয়ে পাকিস্তানি মদদপুষ্ট জঙ্গি হামলার পর পশ্চিমবঙ্গেও ড্রোন দিয়ে বোমা ফেলে আক্রমণ করতে পারে জঙ্গিরা। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের সব নৌবাহিনীর ঘাঁটি এবং দপ্তরের তিন কিলোমিটারের পরিধির আকাশকে নো ফ্লাই জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
ব্যারাকপুর, ডায়মন্ড হারবার ঘাঁটির সঙ্গে নৌবাহিনী রাজ্য দপ্তর, গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স এবং সংলগ্ন এলাকাকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
শুধু তা-ই নয়, রাজ্যের সমুদ্র উপকূল অংশ অথবা হুগলি নদীতে কোনো যুদ্ধজাহাজ থাকলে বা চলাচল করলে তার তিন কিলোমিটার আকাশপথ একই সুরক্ষাবলয়ে থাকবে। নির্দিষ্ট এই অংশে অনুমোদনহীন কোনো ড্রোন বা আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) অযাচিতভাবে প্রবেশ করলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কথায় সেটিকে বাজেয়াপ্ত বা নিউট্রালাইজড (গুলি করে নামানো) করা হবে।
পাশাপাশি ড্রোন ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১, ১২১এ, ২৮৭, ৩৩৬ এবং ৩৩৮ ধারায় মামলা হবে। নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার জম্মুর কানাচক সীমান্তে পাঁচ কেজি বিস্ফোরকবোঝাই একটি ড্রোনকে গুলি করে নামানোর পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জরুরি বৈঠক করেন। তারপর পশ্চিমবঙ্গের নৌবাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরকে নো ফ্লাই জোনের আওতায় আনা হয়।
লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জয়েশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো মিলে গঠন করেছে আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট (একিউআইএস)। আইএস মতাদর্শে বিশ্বাসী সংগঠনটি হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। নাশকতা, বিস্ফোরণ, জঙ্গি হামলা এবং জম্মুতে ড্রোনের মাধ্যমে বোমা ফেলা তারই অংশ বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লির পাশাপাশি কলকাতা শহরেও জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।