পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, ‘দিদিকে বলো, দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের প্রশংসা করা হয়েছে নোবেলজয়ী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সংস্থা প্রতীচী ট্রাস্টের সমীক্ষা প্রতিবেদনে।
চলতি মাসে প্রতীচী ট্রাস্টের একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়েছে, দিদিকে বলো, প্রকল্পে রাজ্যের বহুসংখ্যক মানুষ তাদের অভাব-অভিযোগ জানিয়েছেন। আবার দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় পৌনে তিন কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন।
দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে জমা পড়া ৯৫ শতাংশ অভিযোগের সমাধান হয়েছে বলে প্রতীচীর সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে। দিদিকে বলো প্রকল্পে ১০ লাখ অভিযোগ নিয়ে কাজ হয়েছে।
প্রতীচীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই চালু করা হয় সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে বহু এলাকায় ক্যাম্প। মুখ্যমন্ত্রী সে বিষয়ে প্রচারও করেন।
একইসঙ্গে খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জাতিগত শংসাপত্র, কৃষক বন্ধু, ১০০ দিনের কাজ, এইসব প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পগুলো থেকে। এই প্রকল্প সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থাকলে তাও দেখা হয়েছে।
২০১৯ সালে দিদিকে বলো এবং ২০২০ তে দুয়ারে সরকার প্রকল্প দুটি গ্রামের মানুষের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা, যারা সরকারি অফিসে গিয়ে নানা কারণে এই সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন না, তাদের কথা ভেবে এই প্রকল্প করা।
আর এই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে ক্যাম্পে আসেন নারীরা। রাজ্যের ৪৫ শতাংশ নারী সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের অভাব অভিযোগ জানিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতীচী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষ সবচেয়ে বেশি এই দুই প্রকল্পের সুযোগ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নবান্ন হলে প্রতীচী ট্রাস্টের সমীক্ষায় সরকারি কাজের স্বীকৃতি উল্লেখ করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।