বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেগাসাস নির্মাতা এনএসও পর্যালোচনায় কমিশন গঠন ইসরায়েলের

  •    
  • ২২ জুলাই, ২০২১ ১৯:০৫

এনএসওর প্রধান নির্বাহী শালেভ হুলিও বলেন, ‘গোপনীয়তার স্বার্থে চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে না এনএসও। তবে কোনো দেশের সরকার বিস্তারিত তথ্য চাইলে সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে রাজি আছি।’

নিজেদের গোয়েন্দা ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের ফোনে আড়ি পাতার সফটওয়্যার পেগাসাসের বিরুদ্ধে অপব্যবহারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কমিশন গঠন করেছে ইসরায়েল।

দেশটির পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটির প্রধান বেন বারাক বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক উপপ্রধানের দায়িত্বও পালন করেন বেন।

তিনি বলেন, ‘কয়েকটি সংগঠন নিয়ে একটি পর্যালোচনা কমিশনের নিয়োগ দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

‘কমিশনের পর্যালোচনা শেষ হলে আমরা তাদের প্রতিবেদন নিয়ে বসব। সংশোধনের প্রয়োজন হলে আমরা তা করব।’

বৃহস্পতিবার এনএসওর প্রধান নির্বাহী শালেভ হুলিও বলেন, ‘অভিযোগের তদন্ত হলে আমি খুবই খুশি হব। সে ক্ষেত্রে আমাদের নাম কলঙ্কমুক্ত হবে।’

হুলিও অভিযোগ করে বলেন, ‘ইসরায়েলের সাইবার শিল্প ধ্বংসের চেষ্টা চলছে। দেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে ৪৫টি দেশে পেগাসাস রপ্তানি করা হয়।’

হুলিও বলেন, ‘গোপনীয়তার স্বার্থে চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে না এনএসও। তবে কোনো দেশের সরকার বিস্তারিত তথ্য চাইলে সে ক্ষেত্রে পূর্ণ সহযোগিতা করতে রাজি আছি।’

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘কোনো দেশের কর্মকর্তা এ বিষয়ে এনএসওর সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি তাদের সব কিছু জানাতে প্রস্তুত আছি।’

বেন আরও বলেন, ‘পেগাসাস অনেক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ফাঁস করেছে। তবে দায়িত্বজ্ঞানহীন কাউকে পেগাসাস বিক্রি বা এটি অপব্যবহার করা হলে সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আমরা যাচাই করব।’

বুধবার সাইবার নজরদারি সফটওয়্যার স্থগিতের আহ্বান জানায় প্যারিসভিত্তিক সংগঠন রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার্স।

সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, রাষ্ট্রপ্রধান, ব্যবসায়ীসহ অন্যদের স্মার্টফোন নজরে রাখতে ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের সফটওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করা হয় বলে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়।

এনএসওর তালিকায় ৫০ হাজারের মতো ফোন নম্বর রয়েছে।

ফাঁস হওয়া ডেটাবেজে ওই নম্বরগুলো শুরুতে পায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও প্যারিসভিত্তিক এনজিও ফরবিডেন স্টোরিজ।

পরে সংস্থা দুটি বিশ্বের ১৬টির মতো সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানালে এ নিয়ে অনুসন্ধানে নামেন সাংবাদিকরা।

রোববার পেগাসাস নামের স্পাইওয়্যারকে ঘিরে প্রতিবেদন করে ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান, লা মঁদসহ বিশ্বের আরও ১৪টি সংবাদ সংস্থা।

প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, পেগাসাস ব্যবহার করে আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের মেসেজ, ফটো, ই-মেইল, কল রেকর্ড-সংক্রান্ত সব তথ্য জেনে যায় অপারেটর।

এ ছাড়া অপারেটর গোপনে ফোনের মাইক্রোফোনও চালু করতে পারে।

প্রতিবেদনগুলোতে আরও বলা হয়, এএফপি, সিএনএন, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, আল-জাজিরাসহ আরও বেশ কয়েকটি বার্তা সংস্থার ১৮০ জনের মতো সাংবাদিকের নাম এনএসওর তালিকায় রয়েছে।

নিহত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজির বাগদত্তা ও স্ত্রী এবং নিহত মেক্সিকান সাংবাদিক সেসিলিও পিনেদা বারতোর ফোনও পেগাসাসের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়।

এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আরবের রাজপরিবারের সদস্য ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের নামও ওই তালিকাভুক্ত।

এ বিভাগের আরো খবর