বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অস্ট্রেলিয়ার অর্ধেক মানুষ ফের লকডাউনে, ক্ষোভ

  •    
  • ২১ জুলাই, ২০২১ ১৬:০৬

করোনা মোকাবিলায় সীমান্ত বন্ধ, কোয়ারেন্টিন, দ্রুত লকডাউনসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয় অস্ট্রেলিয়া সরকার। তবে গত মাসে করোনার ডেল্টা ধরন এসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকে ধূলিস্যাৎ করে দেশটিতে ব্যাপক সংক্রমণ ঘটায়, যা এখনও অব্যাহত।

করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে লকডাউনের আওতায় এনেছে অস্ট্রেলিয়া।

বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলসের কয়েকটি অঞ্চলের পাশাপাশি সাউথ অস্ট্রেলিয়া অঙ্গরাজ্যেও লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের মতো সিডনি ও মেলবোর্নে কখন লকডাউন তোলা হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

করোনা মহামারির ১৮ মাসের মধ্যে ফের কঠোর লকডাউন দেয়ায় অস্ট্রেলিয়ার অনেক নাগরিক ক্ষোভ ও হতাশার কথা জানিয়েছেন।

বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সবকিছু খুলে যাওয়ায় ক্ষোভ আরও বেশি কাজ করছে। লকডাউন তুলে ফেলার চাপ বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর।

জনগণকে করোনা টিকা দেয়ার গতি ধীর হওয়ায় তুমুল সমালেচনার মুখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

অস্ট্রেলিয়ায় ১৪ শতাংশেরও কম মানুষকে এখন পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে। অবশ্য এ নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে খুব একটা ভ্রুক্ষেপ দেখা যায় না।

বুধবার সাংবাদিকদের মরিসন বলেন, ‘কোনো দেশ করোনা মহামারি মোকাবিলায় শতভাগ সফল হয়নি। অস্ট্রেলীয়রা বিষয়টি বুঝতে পারছেন বলে আমার ধারণা।’

অন্যান্য দেশের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় সংক্রমণের হার অনেক কম বলেও জানান মরিসন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৯১৫ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে মঙ্গলবার এক দিনে ৯০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন।

করোনা মোকাবিলায় সীমান্ত বন্ধ, কোয়ারেন্টিন, দ্রুত লকডাউনসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয় অস্ট্রেলিয়া সরকার।

তবে গত মাসে করোনার ডেল্টা ধরন এসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকে ধূলিস্যাৎ করে দেশটিতে ব্যাপক সংক্রমণ ঘটায়, যা এখনও অব্যাহত।

অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনিতে গত এক মাসে দেড় হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

শহরটিতে কঠোর লকডাউনের চতুর্থ সপ্তাহ চললেও বুধবার সেখানে ১১০ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়।

সিডনিতে লকডাউনের সময়সীমা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

পাঁচ জনের দেহে ডেল্টা ধরন শনাক্ত হওয়ায় সাত দিনের লকডাউন দিয়েছে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে ভিক্টোরিয়ায় বুধবার নতুন করে ২২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ায় আপাতত মঙ্গলবার পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

গত মাসে অল্প সময়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সাতটি শহরে লকডাউন দেয়া হয়েছিল।

এ বিভাগের আরো খবর