ঈদুল আজহার নামাজ পড়ার সময় আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে কমপক্ষে তিনটি রকেট হামলা হয়েছে।
এ সময় কার্যালয়ের বাইরে মাঠে নামাজ পড়ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মঙ্গলবার সকালে এ হামলা হয় বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে রকেট হামলার দায় এখন পর্যন্ত কোনো সংগঠন নেয়নি।
বিদেশি সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার শেষ সময়ে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়ে নিজেদের দখলে নিচ্ছে তালেবান। দেশটির ৮৫ শতাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে সম্প্রতি দাবি করেছে সংগঠনটি।
তালেবানের সহিংসতা শুরুর পর গত কয়েক মাসে রাজধানী কাবুলে কোনো হামলা হয়নি। ঈদের দিনই শহরটিতে হামলা হলো।
ঈদ উপলক্ষে সকাল থেকে শান্ত ছিল কাবুলের পরিবেশ। হঠাৎ গ্রিন জোনে একের পর এক রকেট হামলায় চারদিকের নিস্তব্ধতা ভেঙে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রিন জোনে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ছাড়াও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের দূতাবাস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে মাঠে ঈদের নামাজ পড়ছেন কয়েকজন মুসল্লি। তাদের মাথার ওপর দিয়ে একপর্যায়ে রকেট উড়ে কাছে খোলা জায়গায় বিস্ফোরিত হয়। তবে রকেট চলাচল ও বিস্ফোরণের শব্দ ভাঙাতে পারেনি মুসল্লিদের নামাজ।
আফগানিস্তানের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও পাগড়ি পরা প্রেসিডেন্ট ঘানি নামাজের পর এক বক্তৃতায় বলেন, ‘তালেবান প্রমাণ করেছে, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।’
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিরওয়াইস স্ট্যানিকজাই বলেন, ‘পিকআপ ট্রাক থেকে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এগুলোর মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়নি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানতে পেরেছি, রকেট হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’
এর আগেও একবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে হামলা হয়।
গত বছর আশরাফ ঘানি দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পর তার অভিষেক অনুষ্ঠান রকেট হামলার মুখে পড়ে। জঙ্গি সংগঠন আইএস সে সময় ওই হামলার দায় নিয়েছিল।
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবের সময় সাধারণত তালেবান যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে থাকে। তবে এবার ঈদুল আজহায় এ ধরনের কোনো ঘোষণা সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি।