বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফগানিস্তানের কূটনীতিক প্রত্যাহার দুঃখজনক: পাকিস্তান

  •    
  • ১৯ জুলাই, ২০২১ ১৫:৫১

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, ‘পাকিস্তান থেকে রাষ্ট্রদূতসহ জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক প্রত্যাহারে আফগানিস্তানের সিদ্ধান্ত দুঃখজনক ও অনুশোচনীয়। রাষ্ট্রদূত আলিখিল, তার পরিবার, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও আফগান কনস্যুলেটের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। আশা করছি, আফগান সরকার তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।’

রাষ্ট্রদূতের মেয়ে অপহরণের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান থেকে রাষ্ট্রদূত ও জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের প্রত্যাহারের আফগানিস্তানের সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক ও অনুশোচনীয়’ হিসেবে মন্তব্য করেছে ইসলামাবাদ।

আফগান সরকারের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বানও জানায় দেশটি।

ভারতভিত্তিক বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের সোমবারের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানে আফগান রাষ্ট্রদূত নাজিব আলিখিলের ২৬ বছর বয়সী মেয়ে সিলসিলা আলিখিলকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ বিষয়ে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পাকিস্তান থেকে রাষ্ট্রদূতসহ জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক প্রত্যাহারে আফগানিস্তানের সিদ্ধান্ত দুঃখজনক ও অনুশোচনীয়।’

এতে আরও বলা হয়, ‘রাষ্ট্রদূত আলিখিল, তার পরিবার, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও আফগান কনস্যুলেটের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।

‘আশা করছি, আফগান সরকার তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।’

রোববার আফগান রাষ্ট্রদূত আলিখিলের সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোহেল মাহমুদ।

সাক্ষাতে আফগান কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় নেয়া পাকিস্তানের পদক্ষেপ সম্পর্কে আলিখিলকে জানান সোহেল। এ ছাড়া সব বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাসও দেয়া হয়।

শুক্রবার ইসলামাবাদে নাজিব আলিখিলের মেয়ে সিলসিলাকে অপহরণ করা হয়।

কয়েক ঘণ্টা সিলসিলাকে বন্দি রাখার পর দুষ্কৃতকারীরা তাকে ছেড়ে দেয়। রাষ্ট্রদূতের মেয়ের দেহে আঘাত ও রশির দাগ ছিল।

ওই ঘটনার পর রোববার রাতে নিরাপত্তা বিবেচনায় পাকিস্তান থেকে রাষ্ট্রদূত নাজিবসহ জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান।

এ পদক্ষেপ আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার স্পর্শকাতর এ সময়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্ক আরও নাজুক করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত হুমকি পুরোপুরি না কাটা পর্যন্ত কাবুলে থাকবেন রাষ্ট্রদূত ও জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা।

এ সময়ের মধ্যে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ টুইটবার্তায় বলেন, ‘আফগান রাষ্ট্রদূতের মেয়ে অপহরণ ও বন্দি অবস্থায় তাকে নির্যাতন আমাদের দেশের মর্যাদায় আঘাত হেনেছে। আমাদের জাতীয় মর্যাদাকে নির্যাতন করা হয়েছে।’

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আফগানিস্তানের এক প্রতিনিধিদল পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

রাষ্ট্রদূতের মেয়ে অপহরণের ঘটনাকে অগ্রাধিকারে রেখেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

ইমরান খান ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন বলে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ জানান।

আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানকে অন্যতম প্রধান সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রতিবেশী দুই দেশ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শীতল সম্পর্ক চলছে।

পাকিস্তান তালেবান যোদ্ধাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ আফগানিস্তানের।

অন্যদিকে পাকিস্তানের অভিযোগ, দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে সশস্ত্র বিভিন্ন সংগঠনকে নিজের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিচ্ছে আফগানিস্তান।

আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে বলেও সম্প্রতি মন্তব্য করেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জবাবে ইমরান খান বলেছিলেন, ‘তালেবানকে শান্তি আলোচনায় বসাতে পাকিস্তানের মতো কোনো দেশ এত পরিশ্রম করেনি।

‘আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আফগানিস্তানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে তালেবানকে শান্তি আলোচনায় রাজি করাতে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি।’

‘আফগানিস্তানে এখন যা হচ্ছে, তার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা খুবই অন্যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর