বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউরোপে হিজাব বন্ধের নির্দেশে তুরস্কের সমালোচনা

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২১ ১৯:২২

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ইসলামবিদ্বেষ, বর্ণবাদ ও ঘৃণা ইউরোপজুড়ে বাড়ছে। এমন সময় ইইউ আদালতের এই সিদ্ধান্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অসম্মানজনক। এ ছাড়া, এর মাধ্যমে বৈষম্যের ভিত্তি গড়ার পাশাপাশি আইনি ক্ষেত্রও প্রস্তুত হবে।’

নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে নিয়োগকর্তাদের হিজাব নিষিদ্ধের অনুমতি দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ এক আদালতের সাম্প্রতিক আদেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। একে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে দেখছে আঙ্কারা।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার লুক্সেমবার্গভিত্তিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোর্ট অফ জাস্টিস (সিজেইইউ) এক নির্দেশ দেয়।

এতে বলা হয়, ইইউভুক্ত দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর ম্যানেজমেন্ট নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কর্মীদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করতে পারবে।

ক্রেতাদের মধ্যে ধর্মীয় নিরপেক্ষতার ভাবমূর্তি তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করলে সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো এ পদক্ষেপ নিতে পারে।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, এ নির্দেশ ক্রমবর্ধমান ইসলামবিদ্বেষের জোরালো ইঙ্গিত। ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে ইউরোপে মুসলমান নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, যা দিন দিন বাড়ছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইসলামবিদ্বেষ, বর্ণবাদ ও ঘৃণা ইউরোপজুড়ে বাড়ছে।

‘এমন সময় ইইউ আদালতের এই সিদ্ধান্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অসম্মানজনক। এ ছাড়া এর মাধ্যমে বৈষম্যের ভিত্তি গড়ার পাশাপাশি আইনি ক্ষেত্রও প্রস্তুত হবে।’

শনিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক ফাহরেত্তিন আলতুন ইইউ আদালতের নির্দেশের নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, ‘বর্ণবাদের বৈধতা দেয়ার চেষ্টা এই ভুল সিদ্ধান্ত।’

কর্মস্থলে হিজাব নিষিদ্ধের ঘোষণা ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন কি না জানতে চাইলে সিজেইইউর পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা সম্ভব যদি নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চান।

২০০২ সালে তুরস্কের ক্ষমতায় আসে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন ইসলামপন্থি একে পার্টি।

ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও কর্তৃত্ববাদের জন্য সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা মিত্রদের সমালোচনার মুখে পড়ে তুরস্ক।

গত বছর তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে আয়া সোফিয়া জাদুঘরকে এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন মসজিদে পরিণত করার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র, গ্রিস, রাশিয়া ও যাজক নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে সে সময় আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

তুরস্কের সঙ্গে ইইউভুক্ত দেশগুলোর সম্পর্কে বেশ কয়েকটি কারণে ভাটা পড়েছে। এগুলোর মধ্যে সমুদ্রপথ নিয়ে ইইউভুক্ত দেশ গ্রিসের সঙ্গে তুরস্কের বিবাদ, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে প্রাকৃতিক শক্তি অধিকার নিয়ে টানাপোড়েন অন্যতম।

এ বিভাগের আরো খবর