বন্যায় বিপর্যস্ত ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে প্রাণহানি বেড়ে ২০০ জনের কাছাকাছি পৌঁছেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জার্মানিতে দুর্গত অঞ্চল পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
অতিবৃষ্টির ফলে ৬০ বছরের ভয়াবহতম বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৮৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে জার্মানি ও বেলজিয়াম। প্রতি ঘণ্টায় ধ্বংসস্তুপ থেকে মিলছে আরও মরদেহ, বাড়ছে এ সংখ্যা। এখনও নিখোঁজ অনেকে।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাইনল্যান্ড-প্যালেটিনেট প্রদেশের শুলদ গ্রাম রোববার পরিদর্শন করবেন মেরকেল। জার্মানির পশ্চিমে বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি অঞ্চলের এটি একটি।
গ্রামটিতে আর নদীর পানিতে ভেসে গেছে বাড়িঘর; পানি নেমে গেলেও রয়ে গেছে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ছাপ।
বন্যা শুরুর পর বুধবার থেকে স্থানীয় সময় রোববার সকাল পর্যন্ত শুধু জার্মানিতেই উদ্ধার হয়েছে ১৫৬ জনের মরদেহ। এর মধ্যে রাইনল্যান্ড-প্যালেটিনেট প্রদেশে মারা গেছেন ১১০ জন আর নর্থ রাইন-ওয়েস্টফ্যালিয়ায় ৪৬ জন। আহত ৬৭০ জন।
প্রতিবেশী বেলজিয়ামে আরও ২৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
জার্মানিতে প্রাথমিকভাবে এক হাজার ৩০০ মানুষ নিখোঁজ বলে জানা গেলেও পরে অনেকের খোঁজ মিলেছে। বেলজিয়ামে নিখোঁজ শতাধিক। নিখোঁজদের সন্ধানে দুই দেশে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যেই কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
বেলজিয়ামে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সান্ডার ডি ক্রু ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন।
বন্যায় মৃতদের জন্য মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে বেলজিয়াম সরকার।
ঐতিহাসিক এ বন্যায় বিপর্যস্ত সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ আর নেদারল্যান্ডসও। এসব দেশে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও প্রাণহানির খবর মেলেনি।
বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে অস্ট্রিয়ায়।