যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে চতুর্থবারের মতো শপথ নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
সিরিয়ার সরকারনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ৯৫ দশমিক ১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।
সিরিয়ায় ২৬ মের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ‘অবৈধ’ ও ‘লজ্জাজনক’ হিসেবে অভিহিত করে আসাদের বিরোধী শক্তি ও পশ্চিমা দেশ।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক শহরে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে শপথ অনুষ্ঠান হয়।
ধর্মীয় নেতা, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সেনা কর্মকর্তাসহ ছয় শতাধিক মানুষ ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অভিষেক বক্তব্যে ৫৫ বছর বয়সী আসাদ বলেন, ‘বৈধতার শক্তি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।
‘সিরিয়া রাষ্ট্র ও সংবিধানের বৈধতা নিয়ে পশ্চিমা বাহিনীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে এই নির্বাচন।’
২০০০ সালে বাবা হাফেজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর সিরিয়ার ক্ষমতায় বসেন আসাদ।
১৯৭০ সালে রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার শাসক হন হাফেজ।
২৬ মের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সিরিয়ার কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ১ কোটি ৮০ লাখ ভোটারের মধ্যে ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট দেন।
নির্বাচনে আসাদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দুই স্বল্প পরিচিত প্রার্থী।
২০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রায় ৮৯ শতাংশ ভোট পান আসাদ।
আসাদের নতুন শাসনকাল শুরু হচ্ছে এমন একসময়, যখন ১০ বছরের যুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশটি।
সিরিয়ায় যুদ্ধে হাজার হাজার প্রাণহানি ঘটে। সন্ধান নেই কয়েক লাখ মানুষের। বিমান হামলায় দেশটির অবকাঠামো ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ মুহূর্তে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সিরিয়া।
যুদ্ধে সিরিয়ার প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রতিবেশী দেশ বা ইউরোপে শরণার্থী হিসেবে জীবন কাটাচ্ছে।
জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সিরিয়ার ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে।
সিরিয়ার কিছু অংশ সরকারের নিয়ন্ত্রণে। আর অন্যান্য অঞ্চলে বিদেশি সেনা ও সশস্ত্র সংগঠন অবস্থান করছে। সেসব অঞ্চল সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।