রাজ্যে কোন মৌসুমে কোন জেলায় জুনোটিক (প্রাণিবাহিত) রোগ বাড়ছে তা পর্যালোচনা করেই রোগের মানচিত্র তৈরি করতে এবার ১৪ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যদপ্তর।
কোন এলাকায়, কোন মৌসুমে বিশেষ কোনো সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে কিনা তার পূর্বাভাস পেতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
রাজ্যের মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজির চিকিৎসক, অধ্যাপক সিদ্ধার্থ জোয়াদ্দারের মতে, ‘মানুষ এবং প্রাণীদের স্বাস্থ্যের উপর একযোগে নজর দেওয়ার সময় এসেছে। এ জন্য সজাগ হতে হবে চিকিৎসকদের। প্রাণিবাহিত রোগের ওপর নজর রাখলে মহামারি থেকে স্থানীয় রোগের সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উৎস বাদুড় কিনা তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং প্রাণী স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সংস্থা ওআইই জানিয়েছে, নতুন সংক্রমণের ৭৫ শতাংশের উৎস কোন না কোন প্রাণী। প্রাণী থেকে রোগের সংক্রমণ মানুষে ছড়াচ্ছে।
যেমন সার্স ছাড়াও একাধিক রোগের বাহক বাদুড়। জুনোটিক বা প্রাণিবাহিত রোগের ওপর নজরদারি চালাতে, স্বাস্থ্যকর্তা, চিকিৎসক, পশু চিকিৎসক, বন্যপ্রাণী বিভাগের কর্তাদের নিয়ে তৈরি হয়েছে স্টেট জুনোসিস কমিটি। বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকসহ ১১ জনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে জেলা জুনোসিস কমিটি।
গৃহপালিত পশু বা বাড়িতে পোষা কুকুর, বিড়াল থেকে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। গরু থেকে মানুষ অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়। আবার শুয়োর, মশা-মাছি থেকে জাপানি এনসেফ্যালাইটিস রোগ হয়।
বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন রোগ থাবা বসায় রাজ্যে। তার আগাম আভাস পেতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের উদ্যোগে তৈরি হবে সংক্রামক রোগের মানচিত্র। যা থেকে পাওয়া যাবে রোগ সংক্রমণের আগাম আভাস। সংক্রমণ মোকাবিলায় রোগের মানচিত্র রাজ্যের হাতে বড় হাতিয়ার হতে পারে।
আর এ জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী। খুব তাড়াতাড়ি এই কাজ শুরু হবে বলে, পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।