ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বকেয়া সাতটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন নির্ধারিত সময়ে করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট জেলার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা আরিজ আফতাব।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র নির্দিষ্ট সময়ে রাজ্যে উপনির্বাচন হবে বলে আশ্বাস দেয়ার পরের দিনই শুক্রবার ইভিএম, ভিভিপ্যাট ফার্স্ট লেভেল চেকিংয়ের নির্দেশ দেন। এর ফলে উপনির্বাচন ইস্যুতে তৃণমূলের মনোবল বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীলচন্দ্র তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে জানান, ‘সাংবিধানিক কোনো সমস্যা হোক তা আমরা চাই না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভোট করতে চাই। তারই লক্ষ্যে যেসব জায়গায় ভোট হবে সেখানকার জেলাভিত্তিক করোনা পরিস্থিতি সর্বশেষ অবস্থা সংগ্রহ করছি।’
নন্দীগ্রামে পরাজিত হলেও ৫ মে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, তাকে ছয়মাসের মধ্যে কোনো একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ভোট চলাকালে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের প্রার্থী মৃত্যুর কারণে ভোট স্থগিত হয়ে যায় ওই দুই কেন্দ্রে। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিজয়ী প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মমতা বন্দোপাধ্যায় ওই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে বিধায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া গোসাবা, শান্তিপুর, দিনহাটা, খড়দহে উপনির্বাচন বাকি আছে। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, উপনির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত।
মুখ্যমন্ত্রী কোভিড পরিস্থিতির প্রশ্নে বলেন, ‘ভবানীপুরে অনেক ওয়ার্ড ইতিমধ্যে কোভিড মুক্ত। জিরো, জিরো, জিরো!’
অন্যদিকে উপ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ‘করোনা পরিস্থিতিতে যখন লোকাল ট্রেন চালাতে দেয়া হচ্ছে না। তখন উপনির্বাচন কী ভাবে করা হবে। আগে রাজ্যের পৌরসভার ভোট করা হোক। তারপর বিধানসভা উপনির্বাচন।’
শাসক ও বিরোধীদলের এই চাপানউতোরের মাঝে নির্বাচন কমিশনের রাজ্যের বকেয়া উপনির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতির উদ্যোগে নিজেদের জয় দেখছে তৃণমূল।