মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে নিয়ে গড়ে উঠেছে চর্তুদেশীয় কূটনৈতিক প্ল্যাটফর্ম।
চার দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের পাঠানো বিবৃতিতে শুক্রবার বলা হয়েছে, আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে এমন কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে ‘সেন্ট্রাল অ্যান্ড সাউথ এশিয়া রিজিওনাল কানেকটিভিটি: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওপরচুনিটিজ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন এই চার দেশের প্রতিনিধিরা।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত জালমে খালিলজাদ, আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হানিফ আতমার, উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল আজিজ কামিলভ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এই উদ্যোগের বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চার দেশের প্রতিনিধিরা একমত হয়েছেন, আফগানিস্তানে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও স্থিতিশীলতা গোটা মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সংযোগ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে আরও বলা হয়েছে যে, ‘শান্তি ও আঞ্চলিক যোগাযোগ অর্জনে এই উদ্যোগ সমঝোতার ভিত্তিতে কার্যকর করা হবে।
আন্তর্জাতিকমানের বাণিজ্যিক রুট চালু হলে এ অঞ্চলে ঐতিহাসিক সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
পারস্পরিক মতৈক্যের মাধ্যমে এই সহযোগিতার ধরন আরও জোরদার করার লক্ষ্যে আগামী মাসে বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে এই চার দেশের প্রতিনিধিরা।
এই একই সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা ঠিক নয়।
আফগানিস্তানে শান্তি-প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইমরান খান।