ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পিএসি চেয়ারম্যান পদ বিতর্কে এবার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ চেয়ে আদালতে যাচ্ছে বিজেপি।
শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৪ মিনিটের সাক্ষাত সেরে বেরিয়ে বলেন, ‘পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, তৃণমূল পরিচালিত ব্যবস্থার ওপর আমাদের কোনো আস্থা নেই। আমরা বিজেপির পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেব। তথ্য-প্রমাণ জমা দেব। এই ধরনের ঘটনা দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। নির্দিষ্ট সময়ে যেন শুনানি শেষ হয়, তার জন্য আবেদন করব।’
প্রসঙ্গক্রমে শুভেন্দু বলেন, ‘বাম পরিষদীয় দল যখন দিপালী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ করেছিল তখন ২৩টি শুনানি হয়। তাও নিষ্পত্তি হয়নি। তাই এই ব্যবস্থার ওপর আস্থা নেই।’
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ চেয়ে আদালতে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘রাজ্যে যেন দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়, তার জন্য আবেদন করা হবে। এর পাশাপাশি আদালতে আবেদন করা হবে, এই বিষয়ে নিষ্পত্তির জন্য যেন আদালত নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়।’
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধানসভার পাবলিক একাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসায় দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছিল বিজেপি। শুক্রবার তার শুনানি ছিল। কিন্তু মাত্র চার মিনিটের শুনানি শেষ হয়ে যায়। পরবর্তী শুনানি ৩০ জুলাই।
মুকুলের পিএসির চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নের প্রতিবাদে বিজেপি বিধানসভার সবকটি স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছে। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ করেছে। এবার মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ ইস্যুতে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।
শুধু তাই নয়, তৃণমূলকে চাপে রাখতে মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন দিল্লি জয়ের লক্ষ্যে দেশের বিজেপিবিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দিল্লিতে বিরোধী ঐক্য মজবুত করতে বৈঠক করবেন তখন রাজ্য বিজেপি রাজ্যের ভোট-পরবর্তী হিংসা, টিকা কেলেঙ্কারি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের কাছে নালিশ জানাতে যাচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করতে যাওয়া এই দলটির নেতৃত্ব দেবেন।
সবটাই আসলে বিজেপির ভোটে হেরে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কৌশল বলে মনে করছে, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।