আফগানিস্তানে শান্তি-প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন ইমরান।
উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে ‘সেন্ট্রাল অ্যান্ড সাউথ এশিয়া রিজিওনাল কানেকটিভিটি: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওপরচুনিটিজ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ইমরান।
সেখানে শুক্রবার তিনি এ মন্তব্য করেন বলে ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
উজবেকিস্তানে দুই দিনের সফরে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর। এর আগেই এমন মন্তব্য করলেন ইমরান।
ঘানিকে উদ্দেশ করে ইমরান বলেন, ‘আফগানিস্তানে চলমান রাজনৈতিক ডামাডোলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাকিস্তান।
‘আফগানিস্তানে গত ১৫ বছরের সহিংসতায় ৭০ হাজারের মতো পাকিস্তানি হতাহত হয়েছে।’
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা প্রত্যাহারের তারিখ ঘোষণার পর তালেবান আর আপসে রাজি নয়।
ইমরান আফগান প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করেন, ‘আফগানিস্তানে যখন ন্যাটো বাহিনীর দেড় লাখ সেনা অবস্থান করছিল, তখন তালেবানকে শান্তি আলোচনায় বসানোর উদ্যোগ নেয়া উচিত ছিল।
‘বিদেশি সেনা আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার তারিখ দেয়ার পর কেন তালেবান আপস করবে?
‘কেন সংগঠনটি আমাদের কথা শুনবে, যখন তারা বিজয় টের পাচ্ছে?’
ইমরান আরও বলেন, ‘কঠিন সময় পাড়ি দেয়ার পর পাকিস্তানের অর্থনীতির চাকা অবশেষে ঘুরতে শুরু করেছে।
‘আমি আবার বলছি, আফগানিস্তানে সংঘাত জারি থাক, এটা আমরা চাই না।’
ইমরান বলেন, ‘তালেবানকে শান্তি আলোচনায় বসাতে পাকিস্তানের মতো কোনো দেশ এত পরিশ্রম করেনি।
‘আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আফগানিস্তানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে তালেবানকে শান্তি আলোচনায় রাজি করাতে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি।’
‘আফগানিস্তানে এখন যা হচ্ছে, তার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা খুবই অন্যায্য।’
পাকিস্তান আফগানিস্তানে শান্তির বিষয়ে আন্তরিক না হলে গত বছরের নভেম্বরে কাবুল সফর করতেন না বলেও মন্তব্য করেন ইমরান।
তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের শান্তি-প্রক্রিয়ায় অংশ নিতেই কাবুল সফর করা হয়। আমি হতাশ, আফগানিস্তানের পরিস্থিতির জন্য এখন আমাদেরই দায়ী করা হচ্ছে।’