বন্যায় বিপর্যস্ত ইউরোপ। জার্মানি ও বেলজিয়ামে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৯৩ জনের।
অতিবৃষ্টির পরে নদীর তীর উপচে দেশ দুটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নেমেছে ঢল।
শুধু জার্মানিতেই বন্যা কেড়ে নিয়েছে ৮১ জনের প্রাণ। বেলজিয়ামে এ সংখ্যা ১২। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরেক প্রতিবেশী নেদারল্যান্ডস আর লুক্সেমবার্গও ।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, জার্মানিতে বন্যায় নিখোঁজ হয়েছে এক হাজার তিন শর বেশি মানুষ। ফলে প্রাণহানি আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, অঞ্চলটিতে শুক্রবার আরও বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস আবহাওয়াবিদদের। রাইন ও এর শাখা নদীগুলো বিপৎসীমা পার করেছে আগেই, এখনও বিপজ্জনকভাবে বেড়ে চলেছে পানির উচ্চতা।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবে এমন পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন তারা।
বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জার্মানির নর্থ রাইন-ওয়েস্টফ্যালিয়া ও রাইনল্যান্ড-প্যালেটিনেট প্রদেশ। নর্থ রাইন-ওয়েস্টফ্যালিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। অন্যদিকে রাইনল্যান্ড-প্যালেটিনেটে মৃত্যু হয় ৫০ জনের।
আরওয়েলিয়ার শহরে বন্যায় ভেঙে পড়া বাড়িঘর দেখে মনে হচ্ছে সুনামি আঘাত হেনেছে সেখানে।
শুধু ব্যাড নয়েনার-আভাইলার শহরেই বৃহস্পতিবার এক হাজারের বেশি উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন, যার কয়েকটি চলছে এখনও।
উদ্ধারকাজে নিয়োজিত বিভিন্ন প্রদেশের এক হাজারের বেশি কর্মী। আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে সফররত জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এ বন্যাকে ‘বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি।
বেলজিয়ামের ওয়ালোনিয়া অঞ্চলে বন্যার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ২১ হাজারের বেশি মানুষ। ১০টি প্রদেশের চারটিতেই সন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী। দেশটিতে নিখোঁজ পাঁচজন।
ম্যুজ নদীতে পানি ফুলেফেঁপে ওঠায় ঝুঁকিতে উপকূলবর্তী শহরের দুই লাখ মানুষ।
বন্যার ভয়াবহতায় নেদারল্যান্ডসের একটি শহর থেকে ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।