জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় কমপক্ষে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে প্রায় অর্ধশত মানুষ।
জার্মান পুলিশ বৃহস্পতিবার এসব তথ্য দেয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারী বর্ষণে রাইন নদীতে পানি উপচে পড়ছে। সে সময় পশ্চিমাঞ্চলীয় বন শহরের দক্ষিণে আরওয়াইলার ডিস্ট্রিক্টে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়।
বন্যায় প্রায় ৫০ জনের মতো মানুষ বাড়ির ছাদে অবস্থান নিয়েছে। আরও অনেক বাড়ি ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
৬৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, ‘এত অল্প সময়ের মধ্যে নদীর পানি তীর ভাঙতে পারে, এমন বিপর্যয় আগে কখনও দেখিনি।’
রাইন নদীর তীরবর্তী শহর কবলেনজের পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, বন্যায় শুল্ড মিউনিসিপ্যালিটির বেশ কয়েকটি ঘর তলিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যু হয় চারজনের।
জার্মানিতে অস্বাভাবিক ভারী বর্ষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাইনল্যান্ড-প্যালেটিনেট ও নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্য।
রাইনল্যান্ড-প্যালেটিনেটের প্রিমিয়ার মালু ড্রেয়ার টুইটবার্তায় বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে ঝড় তীব্র আঘাত হেনেছে।
‘যারা ঝুঁকিতে রয়েছে, তাদের জন্য আমি উদ্বিগ্ন।’
বন্যায় অক্লান্ত কাজ করা সব স্বেচ্ছাসেবী, ফায়ার সার্ভিস ও জরুরি কর্মীদের ধন্যবাদ জানান ড্রেয়ার।
নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের আলটেনা ও ওয়েডল শহরে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মীর মৃত্যু হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে মানুষজন সরাতে চেষ্টা জারি রেখেছেন জরুরি কর্মীরা।
নিখোঁজদের সন্ধানে হটলাইন খুলেছে জার্মান পুলিশ। উদ্ধার কাজে সহায়তার লক্ষ্যে বাসিন্দাদের ভিডিও ও ছবি পাঠাতে বলা হয়েছে।
রাস্তাঘাট ও বাড়ির ছাদে বন্যায় আটকে পড়া অসহায় মানুষের সহায়তায় হেলিকপ্টারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন।
আঞ্চলিক কর্মকর্তা জুয়েরজেন ফোহলার বাসিন্দাদের ঘরে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন। বাসিন্দাদের সম্ভব হলে বাড়ির ওপরের দিকের তলায় চলে যেতে বলেন তিনি।
ফোহলার বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।’