সিরিয়ার আফরিন শহরে একটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে। নিষিদ্ধঘোষিত কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন পিকেকে ও ওয়াইপিজির আগ্রাসনের শিকার ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্ক।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়েছে টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশনের (টিআরটি) প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৮ সালের জানুয়ারি হত্যার পর বিপুলসংখ্যক মানুষকে ওই এলাকায় কবর দেয় কুর্দি বিদ্রোহীরা।
একই এলাকায় আরও গণকবর রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলছে সন্ধান।
গণকবর আবিষ্কারের ফলে কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তুরস্কের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আরও দৃঢ় হলো বলে জানিয়েছে আঙ্কারা।
সিরিয়ার সাবেক কুর্দি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটি ২০১৮ সালে নিয়ন্ত্রণে নেয় তুরস্কের সেনাবাহিনী। হটিয়ে দেয় কুর্দি যোদ্ধাদের।
তুরস্কের বিরুদ্ধে ৩৫ বছর ধরে সশস্ত্র বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে কট্টর বামপন্থি কুর্দি গোষ্ঠী পিকেকে। নারী, শিশু, নবজাতকসহ ৪০ হাজার মানুষকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে পিকেকের বিরুদ্ধে।
তুরস্ক ছাড়াও গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
তবে সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটকে সহযোগিতা করেছিল পিকেকের সিরীয় শাখা ওয়াইপিজি।
একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ, বোমা হামলা, গুপ্তহত্যাসহ অসংখ্য অভিযোগ ওঠে।
এ অবস্থায় ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবেশী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় অপারেশন ইউফ্রেটিস শিল্ড (২০১৬), অলিভ ব্রাঞ্চ (২০১৮), পিস স্প্রিংসহ (২০১৯) বেশ কয়েকটি সফল সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে তুরস্ক।
সীমান্ত অঞ্চলে তুরস্কের নিষিদ্ধঘোষিত কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি তৈরি ঠেকাতে এবং সিরীয় শরণার্থীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এসব অভিযান চালানো হয়।