আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে গত দুই দিনে প্রতিবেশী তাজিকিস্তানে গেছে আরও ৩৪৭ মানুষ। এ নিয়ে গত এক মাসে সীমান্তপথে দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় দুই হাজার আফগান।
তাজিকিস্তানের সীমান্তরক্ষীরা জানিয়েছে, তালেবানের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে পালাচ্ছে সেনাসহ আফগান শরণার্থীরা।
তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা খোভারের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে ৬৪ ছেলে ও ১১৩ মেয়েশিশু আছে। সীমান্ত পেরোনোর সময় মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর।
আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশ হয়ে তাজিকিস্তানের দিকে যাচ্ছে শরণার্থীরা।
মানবিকতার স্বার্থে ও প্রতিবেশী হিসেবে সুসম্পর্কের মর্যাদা দিয়ে তাদের প্রবেশ করতে দিতে তাজিক সীমান্তরক্ষীদের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।
সাবেক সোভিয়েত উপনিবেশ তাজিকিস্তানের পূর্বে পার্বত্য মুরগাব অঞ্চলের দুটি এলাকায় আফগান শরণার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সঙ্গে ৩০০ ইয়াক, ৩০টি ঘোড়া, তিনটি উটসহ অনেক গবাদিপশুও নিয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে তারা।
সীমান্ত পেরোনোর সময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে তিন কেজির বেশি মাদক জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তাজিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
আফগানিস্তানসংলগ্ন সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত তাজিকিস্তান।
দেশটিতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বুধবার জানান, তাজিকিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার যেসব দেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলগুলোর পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে মস্কো।
তবে প্রতিবেশী দেশগুলোতে কোনো রকম হামলা চালানো হবে না বলে তালেবানের আশ্বাসের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সুযোগে সম্প্রতি আফগানিস্তানের বড় অংশ দখল করেছে দেশটির সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তালেবান। নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইরান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, চীন ও পাকিস্তান- এই পাঁচ দেশের সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন আফগান অঞ্চল। বালখ প্রদেশেও উজবেকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকা দখলের চেষ্টা করছে তালেবান।
তালেবানের দখলকৃত শহরগুলো পুনরুদ্ধারে মরিয়া আফগান সেনারা, চলছে তীব্র লড়াই।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, অনেক এলাকাতেও তালেবানকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে আফগান সেনারা।