পশ্চিমবঙ্গে করোনা বিধিনিষেধ বাড়িয়ে ৩০ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। বন্ধ থাকছে লোকাল ট্রেন। তবে আংশিকভাবে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল।
শনি ও রোববার বাদে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রো। চালু থাকবে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। প্রতিদিন স্যানিটাইজ করতে হবে। চালক, কর্মী ও যাত্রীদের করোনা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে বলে বুধবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে।
জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সরকারি, বেসরকারি বাস, ফেরি, ট্যাক্সি, ক্যাব অটো চলবে। সমস্ত ক্ষেত্রে চালক ও যাত্রীদের বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
সিনেমা হল, সুইমিংপুল বন্ধ থাকবে। খেলাধুলা চলতে পারে। তবে দর্শককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৫০ জনকে নিয়ে শুটিং চলতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আগের মতোই রাজনৈতিক, সামাজিক, বিনোদনমূলক জমায়েত বন্ধ থাকছে। বিয়েতে ৫০ জন এবং অন্ত্যেষ্টিতে ২০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবেনা।
২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি অফিস চালু রাখতে হবে। বেসরকারি অফিস এবং কলকারখানায় ৫০ শতাংশের বেশি কর্মী উপস্থিত হতে পারবে না।
প্রাতঃভ্রমণের জন্য সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। টিকা নেয়া না থাকলে পার্কে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দোকান, বাজার আগের নিয়ম অনুযায়ী খোলা থাকছে। রেস্তোরাঁ, শপিংমলে ৫০ শতাংশের বেশি উপস্থিতি নয়। এগুলি রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
সেলুন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া জরুরী পরিষেবা চালু থাকছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৭জন। মোট মৃত ১৭ হাজার ৯৪৪ জন। এসময় সুস্থ হয়েছে ১৪ লাখ ৮১ হাজার ৭৪২ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৭.৮৮ শতাংশ।
এদিকে, বুধবার বিকেল ৪টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করে, প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন। কী নিয়ে তাদের এই বৈঠক জানা না গেলেও মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালের বৈঠকে রাজ্যের সাম্প্রতিক রাজনীতি, করোনা, উপনির্বাচন সব কিছু নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মত দিয়েছেন।
রাজ্যের ভোট পরবর্তী সহিংসতা, বিধানসভার পাবলিক একাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ বিতর্ক, জন বার্লার উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবিও রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে উঠে আসতে পারে।
কয়েকদিন আগেই জৈন হাওলা কেলেঙ্কারিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নাম জড়িয়ে আক্রমণ শানিয়ে ছিল তৃণমূল। রাজ্য, রাজ্যপাল সংঘাত যখন চরম আকার নিয়েছে, তখন সেই আবহে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।