পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচন দ্রুত করার দাবি জানাতে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের বকেয়া ভোট দ্রুত শেষ করার তৃণমূলের তাগিদ রয়েছে। কেননা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে নির্বাচিত না হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।
মমতাকে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে আসার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
রাজ্যের করোনাভাইরাস সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।
এ পরিস্থিতিতে মমতাও চাইছেন উপনির্বাচন করে ফেলতে।
মুখ্যমন্ত্রীর ভবানীপুর কেন্দ্র যেখানে তিনি উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, এরই মধ্যে ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।
তবে বিজেপি উপনির্বাচনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিলেও তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ উপনির্বাচন নিয়ে অহেতুক জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে।
জঙ্গিপুর, শামশেরগঞ্জের সাধারণ নির্বাচনসহ খড়দহ, শান্তিপুর, গোসাবা, দিনহাটা ও ভবানীপুরের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন।
তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট করে বলে আসছি, উপনির্বাচন করানো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে।
‘বিরাট কোনো প্রচারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এখন মানুষ সব জানে। এখন আর নতুন করে প্রচার করে কী হবে?
‘সাত দিনের প্রচারই যথেষ্ট। সেখানে মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার প্রশ্ন নেই। যা হবে সব রকমের কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে হবে।
‘তাই আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব, আপনাদের বেশি সময় দিতে হবে না।’
তৃণমূল দ্রুত নির্বাচন চাইলেও বিজেপি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছে উপনির্বাচনের বিষয়টি।
তবে তারা পুরভোট দ্রুত করার বিষয়ে বেশি আগ্রহী।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘কমিশন যদি মনে করে সাত দিনের প্রস্তুতিতে রাজ্যে উপনির্বাচন সম্ভব, তাহলে তাই হবে।
‘কিন্তু রাজ্যে এ মুহূর্তে যে আইনশৃঙ্খলা রয়েছে, তাতে উপনির্বাচন করার মতো পরিবেশ রয়েছে বলে আমরা মনে করি না।
‘কারণ কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ সর্বত্র আমাদের কর্মীরা ঘরছাড়া। বিজেপিকর্মীদের টিকা, রেশন দেয়া হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক হলেই যেন উপনির্বাচন করা হয়।’