বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা সই

  •    
  • ১৩ জুলাই, ২০২১ ১৬:২৯

প্রথমবারের মতো দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি কারো নামে চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, যা বিদেশি ভিজিটিং প্রফেসর বা বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞের জন্য বরাদ্দ থাকবে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে শিক্ষা দেবে এবং গবেষণা শিক্ষার্থীদের গাইডিংয়ে সহায়তা করবে। এটি সেমিনার, সম্মেলন, অনুষদ মিথস্ক্রিয়া ইত্যাদি এবং পাবলিক বক্তৃতা সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রমে অংশ নেবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চেয়ার প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। বিষয়টিকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতার ইতিহাসে নতুন একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

দিল্লিতে সোমবার এই সমঝোতা সই হয়।

চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা সফরকালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা দুই দেশের মধ্যে অ্যাকাডেমিক, শিল্প ও সংস্কৃতি বিনিময়কে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইসিসিআর মহাপরিচালক দীনেশ কে পাটনায়েক বলেন, ‘আমরা অনেক কিছু করব। তবে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ দিয়ে শুরু করতে চেয়েছিলাম এবং বিশেষত এই বছর যখন আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ তম বার্ষিকী, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের জাতির জনকের ১০০ তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন করছি তখন বাংলাদেশের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কী হতে পারে? আর কাকে বেছে নিতে পারি!’

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর পিসি জোশী বলেন, ‘এই প্রথম বঙ্গবন্ধু চেয়ারের হোস্ট করা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের সকলের জন্য আদর্শ নায়ক ছিলেন এবং স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার প্রতীক ছিলেন।’

আইসিসিআরের সভাপতি ড. বিনয় সহশ্রবুদ্ধি বলেন, ‘এই চেয়ারটি আমাদের বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে অসাধারণ উদযাপন। আমরা শান্তি, ভ্রাতৃত্ববোধ, এবং সমস্ত বিশ্বাস ব্যবস্থার প্রতি সমান সম্মানের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।’

চেয়ারটি বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং এর দ্রুত বর্ধমান আর্থসামাজিক মানকে সামনে রেখে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটি পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের সময়কালের জন্য বলে জানিয়েছে আইসিসিআর।

সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইসিসিআর বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ভারতীয় গবেষণায় বিভিন্ন চেয়ার স্থাপন করেছে। আর প্রথমবারের মতো দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি কারো নামে চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, যা বিদেশি ভিজিটিং প্রফেসর বা বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞের জন্য বরাদ্দ থাকবে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে শিক্ষা দেবে এবং গবেষণা শিক্ষার্থীদের গাইডিংয়ে সহায়তা করবে। এটি সেমিনার, সম্মেলন, অনুষদ মিথস্ক্রিয়া ইত্যাদি এবং পাবলিক বক্তৃতা সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রমে অংশ নেবে।

অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশকে আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম বড় ‘ইঞ্জিন’ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে অনেক দ্রুত উন্নতি করছে। অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের কাছ থেকে ভারত শিক্ষা নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে সেটা অব্যাহত রাখবে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন যে, বাংলাদেশি এবং ভারতীয়দের মধ্যে একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ আছে। আর তাই তিনি ছিলেন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্কের একজন শক্তিশালী প্রবক্তা। স্বাধীনতার জন্য শেখ মুজিবুর রহমান একটি মহান যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং জাতিকে স্বাধীন করেছেন।

‘কেউ তাকে (শেখ মুজিবুর রহমান) বঙ্গবন্ধু বলেন, আবার কেউ তাকে জাতির পিতা বলেন। কিন্তু নিঃসন্দেহে সবার কাছেই তিনি একজন বড় ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, যিনি আক্ষরিক অর্থেই একটি জাতির গন্তব্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন।’

শ্রিংলা বলেন, ‘আমি খুবই খুশি যে, আমরা (ভারত ও বাংলাদেশ) একত্রে একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলেছি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে বিশেষ গুরুত্ব বজায় রেখেছে। যেকোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই উভয় জাতির এই বন্ধন খুবই ঘনিষ্ঠ।

‘ভারতের কূটনীতির প্রধান দুটি স্তম্ভ হলো- প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার এবং অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি (পূর্ব প্রধান নীতি)। এ দুটি নীতিতেই বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের কাজের অভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে।’

শ্রিংলা জানান, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর প্রথম বিদেশ সফরে ঢাকায় গিয়েছিলেন (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এটাই উভয় দেশের মধ্যকার সম্পর্কের কথা বলে দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রবৃদ্ধি এবং উন্নতির ভিত্তি রচনা করে দিয়েছিলেন উল্লেখ করে হর্ষবর্ধন শ্রিংলার মতে, বর্তমানে আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম বড় ‘ইঞ্জিন’ হচ্ছে বাংলাদেশ। কারণ সন্তোষজনক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের মাধ্যমে সামাজিক-অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি করছে।

তিনি বলেন, ‘আর এই কারণে অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের কাছ থেকে আমরা অনেক শিক্ষা নিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা সেটা (শিক্ষা নেওয়া) অব্যাহত রাখব।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামী বলেন, ‘আমরা আশা করি যে চেয়ারের প্রার্থী নির্বাচনে আমরা আইসিসিআর এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করব।’

এ বিভাগের আরো খবর