একই ব্যক্তির শরীরে আলাদা আলাদা টিকা মিলিয়ে দেয়া নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সোমবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ‘এর ভালো-মন্দ দিক নিয়ে এখনও পর্যাপ্ত তথ্য নেই, সেহেতু ওই পরিকল্পনা একটি বিপজ্জনক ধারা তৈরি করবে।’
তিনি বলেন, ‘এটি বেশ বিপজ্জনক। টিকার মেশানো ও মেলা নিয়ে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘এখন নাগরিকরাই যদি ঠিক করতে শুরু করে, কে কখন দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ ডোজ নেবে, তাহলে সেটি বিভিন্ন দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।’
পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় কয়েক ধরনের টিকা মিলিয়ে প্রয়োগ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে অনেক দেশেই।
প্রথম দেশ হিসেবে দুই ধরনের টিকা মিলিয়ে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে থাইল্যান্ড।
চীনের উদ্ভাবিত সিনোভ্যাক টিকার পূর্ণ ডোজ প্রয়োগের পরেও মৃত্যুর ঘটনার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
রোববার থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে সিনোভ্যাকের দুই ডোজ টিকা দেয়া হয়েছিল। এপ্রিল থেকে জুলাই মাসে এদের মধ্যে ৬১৮ জন আবার করোনা আক্রান্ত হন। সিনোভ্যাকের টিকা পাওয়া একজন স্বাস্থ্যকর্মী মারাও গেছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিনোভ্যাকের টিকার প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পাবেন নাগরিকরা। এছাড়া ইতোমধ্যে সিনোভ্যাকের দুই ডোজ টিকা পাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা ফাইজারের বাড়তি এক ডোজ টিকা পাবেন। সিনোভ্যাকের টিকা পাওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের এই টিকা দেয়া হবে।