শত্রু দেশগুলোর কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক সুসম্পর্ক আরও জোরদারের ঘোষণা দিয়েছে চীন ও উত্তর কোরিয়া।
দেশ দুটির মধ্যে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও পারস্পরিক সমঝোতা চুক্তির ৬০তম বর্ষপূর্তিতে এ বার্তা দেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ও উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ রোববার জানায়, বিদেশি শত্রুদের বৈরিতার বিপরীতে দুই দেশের সম্পর্ক অটুট রাখার বার্তা দেন কিম জং উন। আর সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানান শি চিনপিং।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯৬১ সালে চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে উত্তর কোরিয়ার একমাত্র শক্তিশালী মিত্র দেশ চীন।
পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচির কারণে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় পর্যুদস্ত পিয়ংইয়ং বাণিজ্য ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য পুরোপুরি নির্ভরশীল বেইজিংয়ের ওপর।
কিমের বার্তায় বলা হয়, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতি গত কয়েক বছর ধরে নজিরবিহীন জটিলতার মধ্য দিয়ে গেলেও উত্তর কোরিয়া ও চীনের আস্থার সম্পর্ক দিন দিন শক্তিশালী হয়েছে।’
কিম আরও বলেন, ‘দুই দেশের এ চুক্তির মাধ্যমে এশিয়ায় সমাজতন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এ জন্যই বিদেশি শত্রুপক্ষ আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।’
অন্যদিকে বেইজিং থেকে পাঠানো বার্তায় চিনপিং বলেন, ‘দুই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য কিম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ আরও জোরদার করবে চীন। বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রশ্নে প্রতিবেশী দেশ দুটির কূটনৈতিক সম্পর্ককে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহযোগিতা করা হবে।’
চীন-উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার চুক্তিটির মেয়াদ ২০ বছরের। ১৯৮১ ও ২০০১ সালে নবায়ন হয় এটি।
চলতি বছরও চুক্তিটি নবায়নের মাধ্যমে শি ও কিম পরবর্তী ২০ বছরের জন্য এর মেয়াদ বাড়িয়ে নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।