নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জামফারা প্রদেশে গবাদিপশু চোরদের গুলিতে কমপক্ষে ৩৫ গ্রামবাসী নিহত হয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির পুলিশের বরাতে শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র মোহাম্মদ শেহু বলেন, ‘পাঁচ গ্রামে দস্যুরা হামলা চালিয়ে ৩৫ জনকে খুন করে।’
তিনি জানান, মোটরসাইকেলে চড়ে বন্দুকধারীরা মারাদুন জেলার গিদান আদামু, সাউনি, গিদান বাউশি, গিদান মাইদাওয়া ও ওয়ারি গ্রামে বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ওই সময় তারা বাড়িঘরেও আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
শেহু বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী আসার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার রাতের হামলায় অন্তত ৪৩ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। আহত হয় সাতজন।
দানলাদি সাবো নামের এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, ‘গ্রামগুলোতে সব মিলিয়ে ৪৩টি মরদেহ পাই আমরা।
‘নিহতদের শুক্রবার কবর দেয়া হয়েছে। বন্দুকধারীদের হামলায় আহত সাত ব্যক্তিকে গুসাউয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
বুধবার পার্শ্ববর্তী কাতসিনা প্রদেশের সাউয়া গ্রামে ১৮ জনকে হত্যা করে দস্যুরা।
এর আগে গত মাসে জামফারা প্রদেশের জুরমি জেলার ছয়টি গ্রামে ৫৩ জনকে খুন করে এই দস্যুরা।
ওই হামলার পর দস্যুদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষায় গ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানান জামফারা রাজ্যের গভর্নর বেলো মাতাওয়ালে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ও মধ্য নাইজেরিয়ার গ্রামে গ্রামে হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে দেশটির গবাদিপশু চোর ও অপহরণকারীরা।
খুনোখুনি, অপহরণ, গবাদিপশু চুরির পাশাপাশি বাড়িঘর লুটপাট করে জ্বালিয়ে দেয় তারা।
সম্প্রতি নাইজেরিয়ার দুর্বৃত্তরা মুক্তিপণের দাবিতে স্কুলে হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থী অপহরণ করা শুরু করেছে।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে আট শর বেশি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। তাদের বেশির ভাগকে মুক্তিপণ দেয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়।
টাকাপয়সার লোভে দস্যুরা এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড চালায়। তাদের মতাদর্শগত কোনো অবস্থান নেই বলে ধারণা করা হয়।
তবে নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বে ১২ বছর ধরে ইসলামিক স্টেট (আইএস) প্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে। সেখান থেকে আইএস জঙ্গিরা দস্যু দলে যোগ দিতে পারে বলে উদ্বেগ স্থানীয়দের।