পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গরুর গাড়িতে চড়ে পথে নামলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও গরুর গাড়িতে চড়ে পার্লামেন্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
দেশে ক্রমাগত পেট্রোল ও জ্বালানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া। পেট্রোল লিটার প্রতি ১০০ রুপি ছাড়িয়েছে। বাজারে আগুন। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।
এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপ্যাধায়। তার দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তিনি রাজ্যজুড়ে পেট্রোলপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রাজ্যজুড়ে নানাভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘মোদিবাবু, পেট্রোল বেকাবু’ ট্যাগলাইনে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন। পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সাইকেল চালিয়ে বিধানসভায় গেছেন।
নানা ভঙ্গিতে রাজ্যের শাসক দল পেট্রোল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রতিদিন চমকদার প্রতিবাদের মাধ্যমে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ বাড়াচ্ছে।
তৃণমূল বলছে, ‘পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম সীমার বাইরে চলে গেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হচ্ছে না।’
শুক্রবার বেলঘরিয়ার রথতলা থেকে বিভা সিনেমার মোড় পর্যন্ত গরুর গাড়ি চড়ে প্রতিবাদ জানান কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।
মদন মিত্র বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি সরকারের শেষ সময় এসে গেছে। কফিনের শেষ পেরেক পেট্রোলের ১০০ টাকা দাম।’
এরপর গরুদের দেখিয়ে বলেন, ‘একে দুটো বিচালি দিলেও চলবে। মোদি-শাহর গরুর গাড়িতে যাওয়া উচিত ছিল, পার্লামেন্টে। তাহলে বুঝতো মানুষের কষ্ট।’
পথনাটক, প্ল্যাকার্ড, পোস্টার-স্লোগানে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল।