ফ্লোরিডার মায়ামির বহুতল ভবনধসের পর নিখোঁজ ৮৬ ব্যক্তির সন্ধান প্রায় দুই সপ্তাহেও মেলেনি। ধ্বংসস্তূপে এতদিন পর আর কারো বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে এসেছে।
এমন বাস্তবতায় স্থানীয় সময় বুধবার ভবনটির উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মায়ামির উপকণ্ঠে সার্ফসাইড শহরে চ্যাম্পলেইন টাওয়ার্স সাউথ নামের ওই ভবন থেকে সব মিলিয়ে ৫৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মায়ামি-ডেইড কাউন্টির মেয়র ডেনিয়েলা লেভাইন ক্যাভা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে দুই সপ্তাহ ধরে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালানো হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই।’
২৪ জুন ভোরে ১২ তলা ভবনটির একাংশ ভেঙে পড়ে। প্রাথমিক উদ্ধার কাজে ২৪ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। তখন নিখোঁজ ছিলেন ভবনটির ১২১ বাসিন্দা।
নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকে মায়ামি-ডেইড ফায়ার সার্ভিসের সহযোগী প্রধান রে জাদাল্লাহ বলেন, বহুতল ভবনধসে চাপা পড়া ব্যক্তিদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
আংশিক ভেঙে পড়া ভবনটি আরও ভেঙে পড়তে পারে এবং সেক্ষেত্রে নিচে কাজ করা উদ্ধারকর্মীরা ঝুঁকির মুখে পড়বেন- এ আশঙ্কা থেকে রোববার এটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়।
৪০ বছরের বেশি পুরনো ভবনটির আংশিক ভেঙে পড়ার কারণ এখন পর্যন্ত জানতে পারেনি তদন্তকারী দল।
২০১৮ সালের এক প্রকৌশল প্রতিবেদনে ভবনটির গঠনগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়। এটিই এখন তদন্তের মূল বিষয়।