ইরাক ও সিরিয়ায় দায়িত্বরত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক ও সেনাদের ওপর গত ২৪ ঘণ্টায় তিন দফা রকেট ও ড্রোন হামলা হয়েছে।
এর মধ্যে শুধু ইরাকেই বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে কমপক্ষে ১৪টি রকেট।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে এসব হামলায় আহত হন দুই আমেরিকান। মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আন্তর্জাতিক অভিযানের কার্যক্রম পরিচালনায় এ ঘাঁটিটি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীও।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ওয়্যানে মারোত্তো জানান, সবগুলো রকেটই ঘাঁটির ভেতর বা প্রাঙ্গণে বিস্ফোরণ হয়েছে।
রাজধানী বাগদাদে সুরক্ষিত কূটনৈতিক এলাকা গ্রিন জোনে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে দুটি রকেট হামলা হয়।
দূতাবাসের নিজস্ব রকেটবিধ্বংসী ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি রকেটকে ঘুরিয়ে দেয়া হলেও অপরটির বিস্ফোরণ হয় প্রাঙ্গণের ভেতর।
এ ছাড়া সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরাক সীমান্তবর্তী তেলক্ষেত্র আল ওমরে একটি ড্রোন হামলা হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস।
অঞ্চলটিতে একটি ড্রোন ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।
গত ২৮ জুন একই জায়গায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের লক্ষ্য করেও রকেট হামলা হয়েছিল। তাতেও কেউ হতাহত হয়নি।
এখন পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী। এর সঙ্গে ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
জুনে ইরাক-সিরিয়া সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হয় ইরান সমর্থিত চার ইরাকি বিদ্রোহী। এরপরই প্রতিশোধের ঘোষণা দেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।
ইরাকের সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি যেভাবে রকেট ও বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন হামলা শুরু হয়েছে, তা নজিরবিহীন।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাছে সোমবারও একটি সশস্ত্র ড্রোন ভূপাতিত করে আমেরিকান সেনারা। তারও কয়েক ঘণ্টা আগে পশ্চিমাঞ্চলের আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের আবাসনের জন্য ব্যবহৃত একটি এলাকায় রকেট হামলা হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কুর্দি অধ্যুষিত ইরবিলের বিমানবন্দরে মঙ্গলবার একটি ড্রোন হামলা হয়। বিমানবন্দরটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি হামলার লক্ষ্য ছিল বলে নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।