হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোউসের হত্যাকারীদের সন্ধানে চলছে অভিযান। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে চারজন। আটক করা হয়েছে দুইজনকে।
রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সজুড়ে আরও সন্দেহভাজনের খোঁজে চলছে চিরুনি অভিযান। তাদের জীবিত আটক অথবা হত্যা করা হবে বলে জানিয়েছেন হাইতির পুলিশপ্রধান লিয়ন চার্লস।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডের পরপরই দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লড জোসেফ। জাতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শান্ত থাকার।
৫৩ বছর বয়সী মোউসেকে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১টার দিকে নিজ বাড়িতে হত্যা করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। মোউসের ব্যক্তিগত বাসভবনে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় তারা।
ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান প্রেসিডেন্ট। গুলিতে গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী।
ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোউসেকে চিকিৎসার জন্য এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল হলেও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে হাইতির পুলিশপ্রধান জানান, তিন পুলিশ সদস্যকে জিম্মি করেছিল দুর্বৃত্তরা। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
অপরাধীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও তাদের শহর ছেড়ে পালানোর রাস্তা আটকে দিয়েছে পুলিশ। এরপর থেকেই চলছে বন্দুকযুদ্ধ।
হত্যার কারণ বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানা যায়নি।
এদিকে দেশজুড়ে চলমান জরুরি অবস্থা, বা ‘অবরুদ্ধ অবস্থা’র আওতায় মানুষের দলবদ্ধ হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকায় কাজ করছে সেনাবাহিনী; বাড়ানো হয়েছে আরও কিছু নির্বাহী ক্ষমতার পরিসর।
হাইতির প্রেসিডেন্টকে হত্যার ঘটনায় শোক জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
২০১৭ সালে হাইতির প্রেসিডেন্ট হন মোউসে। সম্প্রতি পদত্যাগের দাবিতে জোরালো গণআন্দোলনের মুখে পড়েন তিনি।
ক্যারিবীয় দরিদ্র রাষ্ট্র হাইতি। অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক অস্থিরতা, শক্তিশালী সব অপরাধী চক্রের ব্যাপকতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে কয়েক দশক ধরে দেশটির অর্থনীতি প্রায় স্থবির।