ভোটে হেরে গিয়ে বিজেপি বিধানসভা অধিবেশন কক্ষে ল্যাজ ছাড়া হনুর মতো আচরণ করছে বলে কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে নজিরবিহীনভাবে বিজেপির সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফল দেখে বোঝা যাচ্ছে কী ফল ধরেছে। মেদিনীপুরের ঘরে ঘরে অত্যাচার করছে। অনেক বিজেপি নেতা-নেত্রীকে চিনতাম কিন্তু এই বিজেপি ল্যাজ ছাড়া হনু।’
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘রাজ্যপালকে ভাষণ পাঠ করতে না দিয়ে, আমি কত বড় বলতে এসেছে। পুরো সংবাদ মাধ্যম নির্ভর একটা দল।’
এখানেই শেষ নয়, ভোটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বিজেপির যত মিথ্যার বেসাতি। ভোটের আগে এসপি, আইসি বদলেছে।’
‘যা মোদি বলেছে, তাই করেছে। উপযুক্ত অফিসারদের সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। তিন মাস অফিসারদের হুমকি দিয়ে রাখা হয়েছিল। আমি নিশ্চিত, বিজেপি ৩০টির বেশি আসন পেত না। নন্দীগ্রামে ভোটারের থেকে বেশি ভোট পড়েছে।’
বহিরাগতদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বাংলাকে বহিরাগতদের আখড়া বানিয়ে ফেলেছিল কিন্তু বাংলার মানুষ বহিরাগতদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে।’
অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপি বিধায়করা রাজ্যপালের ভাষণে ভোটপরবর্তী সহিংসতার কথা উল্লেখ নেই বলে রাজ্যপালের ভাষণের ওপর আলোচনায় মুলতবি প্রস্তাব রাখে এবং কসবা টিকা কাণ্ড নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে। তারপর হট্টগোল শুরু হয়ে যায়।
পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য রাখতে দাঁড়ালে চরম বিরোধিতার মুখে পড়েন। শুভেন্দু তার বক্তব্যে নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে আনলে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘বিচারাধীন বিষয় নন্দীগ্রাম’ বলে এই বিষয়টি রেকর্ড থেকে বাদ দেয়ার কথা বলেন।